নজর দিলে তবেই নজরকাড়া! কোঁকড়া চুলের দরকার বিশেষ দেখভাল, যত্ন নেবেন কীভাবে?

নজর দিলে তবেই নজরকাড়া! কোঁকড়া চুলের দরকার বিশেষ দেখভাল, যত্ন নেবেন কীভাবে?

কলকাতা: কোঁকড়ানো এবং ঢেউ খেলানো চুলে কার্ল বজায় রাখতে এবং এই ধরনের চুলের রুক্ষ হওয়া আটকাতে অনেক বেশি যত্নের প্রয়োজন। তাই কার্লি বা কোঁকড়া চুলের যত্নের জন্য একটি রুটিন মেনে চলা জরুরি। তাহলে বাড়িতেই কীভাবে সহজে কার্ল আরও রেশমি এবং চকচকে রাখা যায়, জেনে নেওয়া যাক (Hair Care)।

শ্যাম্পু রুটিন

ধাপ ১- চুলের স্বাস্থ্যের জন্য শ্যাম্পু করা খুবই জরুরি। প্রথমে পছন্দমাফিক শ্যাম্পু দিয়ে ধীরে ধীরে মাথার ত্বকে মাসাজ করে চুল পরিষ্কার করতে হবে। শ্যাম্পু ধুয়ে ফেলার পর কন্ডিশনার নিয়ে চুলের শেষ ডগায় লাগাতে হবে। কন্ডিশনার লাগানোর সময়ে হাত দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে নিতে হবে।

ধাপ ২- এর পর চুলের জল শুকানোর জন্য মাইক্রোফাইবার তোয়ালে কিংবা সুতির টি-শার্ট ব্যবহার কলে ভালো হয়। কারণ এক্ষেত্রে সাধারণ তোয়ালে ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ্ম ও অমসৃণ হয়ে যেতে পারে।

ধাপ ৩- চুলকে হাইড্রেট এবং ময়েশ্চারাইজ করতে কয়েক ফোঁটা হেয়ার ক্রিম ব্যবহার করা যায়। আলতো করে কার্লগুলোর উপরে এমনভাবে ক্রিম লাগাতে হবে যাতে চুলের স্বাভাবিক কোঁকড়াভাব নষ্ট হয়ে না যায়।

ধাপ ৪- চুলের ভলিউম বাড়াতে এবং প্রাকৃতিকভাবে কার্ল বজায় রাখতে সঠিক নিয়মে চুল আঁচড়ানো খুবই জরুরি।

ধাপ ৫- কোঁকড়া চুলের জন্য স্টাইলিং প্রডাক্টগুলি কার্লের সঠিক আকৃতি বজায় রাখে এবং স্টাইল করতে সাহায্য করে। এর পর তাই সমস্ত কার্লে চুলের মুস ব্যবহার করে ফের একবার চুল আচঁড়াতে হবে। হেয়ার মুস চুলকে আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করে।

ধাপ ৬- মাইক্রোফাইবার তোয়ালে দিয়ে আকেকবার আলতো করে চুল মুছে নিতে হবে। এর পর চুল কিছুক্ষণ শুকিয়ে নিলে ২০-৩০ মিনিট পরেই সুন্দর কার্ল নজর কাড়বে।

রাতের চুলের রুটিন

ধাপ ১- চুল রুক্ষ হয়ে গেলে সমস্ত চুলে লিভ-ইন কন্ডিশনার স্প্রে দেওয়া শুরু করতে হবে। যার জন্য একটি স্প্রে বোতলে লিভ-ইন কন্ডিশনার দিয়ে বোতলের ১/৪ অংশ এবং বোতলের ৩/৪ অংশ জল দিয়ে ভরতে হবে। এবার এটি মাথার ত্বকে এবং কার্লে স্প্রে করতে হবে। তবে চুল তৈলাক্ত হয়ে গেলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা চলবে না।

ধাপ ২– চুল থেকে জল শুকানোর জন্য মাইক্রোফাইবার তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে।

ধাপ ৩- এবার চুল ধোয়া এবং কন্ডিশনার দেওয়ার পরে যে ভাবে যত্ন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে আগে, সেটা করতে হবে। যার জন্য চুলে স্টাইলিং ক্রিম এবং হেয়ার মুস দিয়ে আঁচড়াতে হবে।

ধাপ ৪- এটি রাতের চুলের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা কোঁকড়াভাব বজায় রেখে চুল বাউন্সি করে তুলবে। এক্ষেত্রে চুল শুকানোর জন্য একটি ডিফিউজার ব্যবহার করা হয়। ডিফিউজার হল ব্লো ড্রায়ারের একটি অংশ যা চুলের কার্লগুলোকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লো পাওয়ার মোডে ডিফিউজার ব্যবহার করলে বাড়িতেই সেলুনের মতো চুল পাওয়া যায়।

ধাপ ৫- শেষে কার্লের উপর কিছু অ্যান্টি-ফ্রিজ সিরাম লাগাতে হবে। এতে অল্প সময়ের মধ্যেই চুলে বাউন্স আসবে, তা ঠিকও থাকবে।

Published by:Siddhartha Sarkar

(Source: news18.com)