‘সিপিএম-এর কাগজের রিপোর্টারদের স্ত্রীরাচাকরি পেয়েছিলেন কোন যোগ্যতায়’? শহিদ সমাবেশে মমতা

‘সিপিএম-এর কাগজের রিপোর্টারদের স্ত্রীরাচাকরি পেয়েছিলেন কোন যোগ্যতায়’? শহিদ সমাবেশে মমতা

কলকাতা: শিক্ষক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে দলের নেতা-মন্ত্রীদের। তা নিয়ে লাগাতার বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে (TMC Shahid Diwas 2022)। শহিদ সমাবেশে তা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি এবং সিপিএমকে। তাদের দুর্নীতির কথাও জানেন, শুধু বদলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না বলে এগোননি বলে জানান মমতা (Mamata Banerjee)। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মমতার বক্তব্য়, ‘‘কাজ করলেই ভুল হয়। কাজ যে করে না, ভুল তার হয় না।’’

একযোগে সিপিএম-বিজেপিকে নিশানা মমতার

দু’বছরের বিরতি নিয়ে বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ স্মরণ সমাবেশ বসেছে। তাতে যোগ দিতে একদিন আগে থেকেই জেলা থেকে লোকজন আসতে শুরু করেছিলেন কলকাতায়। এ দিন বৃষ্টি মাথায় নিয়েই শেষ মেশ শুরু হয় সভা। আর সেখানে দাঁড়িয়েই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা। বিজেপি-কে, নাম না করে ‘গদ্দার’দের নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, “শুধু গদ্দারের ছেলেমেয়ে, তাদের লোকজন চাকরি পাবে, তাই কি হয়!”

মমতা আরও বলেন, ‘‘আমরা চাই চাকরি হোক। বিজেপি-ই চাই না (BJP)। তাই পিঁপড়ের মতো কামড় দিয়ে চলেছে। তুমি কি করেছো বাবা! রেল, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, কোল ইন্ডিয়া, বিমান পরিবহণ, প্রতিরক্ষা, কোথায় কী ঘটছে তা জানতে বাকি নেই। বলছে বাংলার লোককে চাকরি দেওয়া চলবে না। আমি বলছি আলবাত চাকরি দেব বাংলার মানুষকে। ক্ষমতা থাকলে ঢুকবে। রাস্তা কী করে বার করতে হয়, তা জানি আমি।’’

এর পরই সিপিএম-কে (CPM) নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম-এর আমলে চাকরি হয়েছিল? এক একটি শিক্ষকের চাকরি ১০-১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। নাম বলে ছোট করতে চাই না। সিপিএম-এর একটি কাগজ রয়েছে। দলের কাগজ। ওদের জিজ্ঞেস করে দেখুন, রিপোর্টারদের স্ত্রীরা সকলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন কী ভাবে। যোগ্যতায় পেয়েছিলেন, নম্বরে পেয়েছিলেন!ছেলেরা পার্টি করবে, বউরা চাকরি করবে। সব জানি আমরা। আমাকে শেখাতে আসবেন না।’’

সিপিএম নেতা তথা শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আইনজীবীর ভূমিকা পালন করা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকেও নিশানা করেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘সিপিএম-এর বিকাশবাবু। চাকরির জন্য় রোজ রোজ এটা কাটো, ওটা কাটো বলে যাচ্ছে। দেখাচ্ছেন কত সাধু পুরুষ। ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানেন না। ওঁকে জিজ্ঞেস করুন, আপনার আমলে কাদের বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল? তাঁরা কি বার্থ সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য় ছিলেন? ফাইলটা বার করব আমি? সেই ফাইল আপনি দেখাবেন, নাকি আমি? আমরা শুরু থেকে বলে আসছি, বদলা নয়, বদল চাই। তাই সেগুলো করিনি আমরা। এটা মাথায় রাখতে হবে। মাথায় রাখতে হবে আপনাদের।’’

কাজ করলে ভুল হয়, বললেন মমতা

শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এই মুহূর্তে মামলা চলছে আদালতে। তাই নিয়োগ আটকে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মমতা। তাঁর সরকার ১৭ হাজার চাকরি তৈরি রেখেছে, যে মুহূর্তে মামলা মিটবে, নিয়োগ শুরু হবে বলে জানান মমতা।