প্রবীর চক্রবর্তী, কলকাতা: প্রকাশ্য় রাস্তায় পড়ে গুলিবিদ্ধ (Bullet) দেহ (body)। পাশেই আবার আগ্নেয়াস্ত্র (firearms)। প্রত্যন্ত এলাকা নয়, খাস কলকাতার বুকে এমন ঘটনা ঘটেছে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে তারাতলার (taratala) হাইড রোড লাগোয়া গোডাউন পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
কী হয়েছে?
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল রাতেই ওই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখা যায় হাইড রোড লাগোয়া গোডাউন পাড়া এলাকায়। রাস্তায় পড়ে থাকা ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কে তিনি? কোথা থেকে এলেন? কী ভাবেই বা মৃত্যু, এখনও স্পষ্ট নয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। রহস্য উদঘাটনে বড় ভূমিকা নিতে পারে রিপোর্ট, ধারণা তদন্তকারীদের। আপাতত আগ্নয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে কেন এমন পথ তিনি বাছলেন সেটাও জানা দরকার।
গুলিচালনায় মৃত্যু আগেও
গত মাসেই গুলিচালনায় মৃত্যুর এক ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মহানগর। অভিযুক্ত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের গার্ড হিসেবে কর্মরত পুলিশকর্মী দিনেদুপুরে পার্ক সার্কাসে ওই তাণ্ডব চালান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন, কোনও এক সহকর্মীকে খুঁজছিলেন ওই পুলিশকর্মী। তার পরই এলোপাথাড়ি গুলি। তাঁর এলোপাথাড়ি গুলির মুখে পড়ে যান এক মহিলা। গুলি লাগে তাঁর। মৃত্যুও হয়। ওই মহিলার সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। জখম হন তিনি। চোড়ুপ লেপচা নামে ওই পুলিশকর্মী পরে নিজেকেও গুলি করেন জানান স্থানীয়রা। মোট আট-দশ রাউন্ড গুলি চলেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সম্ভবত মানসিক অবসাদেই তিনি এত বড় কাণ্ড ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে ধারণা তদন্তকারীদের। নিজের রাইফেল থেকেই গুলি চালান চোড়ুপ। গোটা ঘটনায় হইচই পড়ে যায় রাজ্যে।
তবে গত রাতের ঘটনায় ঠিক কী হয়েছে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এর মধ্যেই তদন্ত করছে পুলিশ।
(Source: abplive.com)