এবার লাগবে বিদ্যুতের ‘শক’, বিপুল বাড়তে চলেছে আপনার ইলেকট্রিক বিল

এবার লাগবে বিদ্যুতের ‘শক’, বিপুল বাড়তে চলেছে আপনার ইলেকট্রিক বিল

#নয়াদিল্লি: দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে এবার লাগতে পারে বিদ্যুতের ‘শক’। প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য ৭৬ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে দেশীয় খনিতে দেখা দিয়েছে কয়লার ঘাটতি এবং চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন হচ্ছে না বিদ্যুৎ। বর্ষার কারণে অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে কয়লা উৎপাদন আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চাহিদা মেটানোর জন্য প্রায় ১.৫ কোটি টন কয়লা আমদানি করবে সরকারি কোম্পানি কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড (CIL)।

এছাড়া প্রায় ২৩ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করার পরিকল্পনা করছে দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (DVC) এবং এনটিপিসি। এর পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো আমদানি করতে পারে ৩৮ মিলিয়ন টন কয়লা। ২০২২ সালেই দেশে আমদানি করা হবে প্রায় ৭৬ মিলিয়ন টন কয়লা, এই আমদানি বিশ্ব বাজারের হারে হবে।

প্রতি ইউনিটে ৮০ পয়সা পর্যন্ত বাড়বে বিল

কয়লা আমদানি করার অর্থ হল আরও ব্যয়বহুল হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো এই বাড়তি খরচ আদায় করবে গ্রাহকদের কাছ থেকে এবং বাড়বে বিলের খরচ। আগামী দিনে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়বে ৫০-৮০ পয়সা বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত দুই সরকারি কর্মকর্তা বলছেন, সমুদ্র বন্দর এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে দূরত্ব কত রয়েছে তার ওপর নির্ভর করবে প্রতি ইউনিটের দাম কত বাড়ানো হবে। এর অর্থ হল বন্দর থেকে স্টেশন পর্যন্ত কয়লা পরিবহন করার খরচও যুক্ত হবে বিলে।

কেন বেছে নেওয়া হল আমদানির রাস্তা?

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে গরম বাড়ার কারণে বিদ্যুতের ব্যবহারও পৌঁছেছে রেকর্ড পর্যায়ে। এই বছর, দেশে ৬০ লক্ষের বেশি বিক্রি হয়েছে এসি। ৯ জুন দেশ জুড়ে খরচ হয়েছে সর্বোচ্চ ২১১ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। বর্ষার কারণে কিছুটা কম খরচ হলেও, ২০ জুলাই দেশ জুড়ে খরচ হয়েছে সর্বোচ্চ ১৮৫.৬৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য কোম্পানিগুলোর প্রয়োজন দৈনিক ২১ লক্ষ টন কয়লা। বর্ষার কারণে অগাস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কয়লা উৎপাদন। এই কারণে কোম্পানিগুলো তাদের চাহিদা মেটাতে বেছে নিয়েছে আমদানির রাস্তা।

কোম্পানিগুলির তরফ থেকে বলা হয়েছে, ১৫ আগস্টের পর থেকে শুরু হবে কয়লার ঘাটতি, তবে আমদানি করার মাধ্যমে তা পূরণ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়া ১৫ অক্টোবরের পর আরও অনুকূল হবে পরিস্থিতি। কারণ তখন বিদ্যুতের ব্যবহার অনেক কমবে এবং বর্ষা শেষ হলে বাড়ানো যাবে কয়লা উৎপাদনও।

Published by:Dolon Chattopadhyay

(Source: news18.com)