Ukraine Russia Grain Deal: চমকপ্রদ! যুদ্ধের আবহেই রাশিয়া-ইউক্রেন সই করল এই চুক্তিতে…

Ukraine Russia Grain Deal: চমকপ্রদ! যুদ্ধের আবহেই রাশিয়া-ইউক্রেন সই করল এই চুক্তিতে…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চমকপ্রদ! অবিশ্বাস্য! যুদ্ধরত দুটি দেশ যখন কোনও সংকট দূর করতে মানবিক হয়ে ওঠে তখন বিশ্ব-রাজনীতির সাপেক্ষে তা রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে।

ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির জন্য কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলি খুলে দিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘ-সমর্থিত একটি চুক্তি করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। শুক্রবার ঐতিহাসিক এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। এই চুক্তি সইয়ের বিষয়ে তুরস্ক ও রাষ্ট্রসঙ্ঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইউক্রেনে রুশ হামলার পর বিশ্ব জুড়ে যে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে, এ চুক্তির ফলে তা কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্যশস্য রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে অন্যতম রাশিয়া ও ইউক্রেন। ইস্তান্বুলে এই চুক্তি হয়। রাশিয়ার হয়ে চুক্তিতে সই করেন তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সে দেশের পরিকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রী ওলেকসান্দার কুবরাকভ। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুয়েতেরেস ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

চুক্তি সই নিয়ে এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব বলেন, চুক্তিটি ইউক্রেন থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে খাদ্য রপ্তানির পথ খুলে দেবে এবং দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলি এ থেকে উপকৃত হবে। চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের কর্মকর্তারা বলেন, চুক্তি অনুযায়ী শনিবার থেকেই জাহাজ চলাচল শুরু হবে।

চুক্তিতে কী থাকছে?

কৃষ্ণসাগরে পণ্যবাহী জাহাজ যাত্রা শুরুর আগে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলিতে শস্যভর্তির কাজ নিরীক্ষণ করবে তুরস্ক, ইউক্রেন ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি দল। ইউক্রেনের বন্দরগুলিতে পেতে রাখা মাইন এড়াতে ইউক্রেনীয় নাবিকেরা জাহাজ মানচিত্র ব্যবহার করে শস্য পরিবহণকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলি নিয়ে যাবে। জাহাজ কৃষ্ণসাগর পেরিয়ে তুরস্কের বসফরাস প্রণালীর দিকে যাবে। ইউক্রেনে প্রবেশকারী জাহাজগুলিও একইভাবে যৌথ সমন্বয় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। দেখা হবে যাতে তারা ইউক্রেনে অস্ত্র বহন করতে না পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেন অত্যাবশ্যক শস্য পরিবহণে নিযুক্ত কোনো বাণিজ্যিক জাহাজ বা বন্দরগুলিতে আক্রমণ করবে না।

এর ফলে কি কাটবে খাদ্যসংকট?

আন্তোনিও গুয়েতেরেস বলেন, ‘দুটি যুদ্ধরত দেশের মধ্যে এ ধরনের এক চুক্তি ঐতিহাসিক।’ পাশাপাশি তিনি এই চুক্তির ফলাফল বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম স্থিতিশীল করতেও সাহায্য করবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

(Source: zeenews.com)