চণ্ডীগড় : সিবিএসই বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ নম্বর! যে কোনও পড়ুয়ার বাড়িতে রোশনাই ছড়িয়ে দেবে এ খবর৷ কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি ধরা পড়ল হরিয়ানার শিলারপুরে অঞ্জলি যাদবের বাড়িতে৷ মেধাবী মেয়ের দুর্দান্ত রেজাল্টেও মুখ কালো অঞ্জলির মায়ের৷ তিনি ভেবে পাচ্ছেন না কী করে মেয়ের উচ্চশিক্ষার খরচ যোগাবেন৷ অঞ্জলির পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরোবার দশা৷
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর যখন অঞ্জলিকে ভিডিও কলে শুভেচ্ছা জানান, তখন তাঁকে অর্থিক সমস্যার বিষয়ে জানান ছাত্রীটি৷ মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জন্য প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা বৃত্তির ব্যবস্থা করেন৷ সেইসঙ্গে জানান, ভবিষ্যতে তাঁর পড়াশোনায় সবরকম সাহায্য করবে রাজ্য সরকার৷
ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চান অঞ্জলি৷ পড়তে চান দেশের অন্যতম সেরা কলেজ দিল্লির এইমস-এ৷ কিন্তু তাঁর পরিবারে মা-ই একমাত্র উপার্জনকারী৷ এক টুকরো জমি আছে বটে৷ কিন্তু অঞ্জলির মা ঊর্মিলার দাবি, তাতে পরিবারের প্রয়োজন মেটানো কষ্টসাধ্য৷
অঞ্জলির বাবা ছিলেন প্যারামিলিটারিতে৷ ২০১০-এ তিনি গুরুতর আহত হন দুর্ঘটনায়৷ শারীরিক কারণেই ২০১৭ সালে অব্যাহতি পান চাকরি থেকে৷ অঞ্জলির ছোট ভাই পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া৷ সংবাদমাধ্যমে অঞ্জলি বলেছেন তিনি পরিবারের অসহায়তার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন৷ বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেওয়ায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতাও জানান৷
শিলারপুরের বাসিন্দা অঞ্জলি পড়েন ইন্ডাস ভ্যালি পাবলিক স্কুলে৷ তাঁর মা জানিয়েছেন, মেয়ের কঠোর পরিশ্রমের ফসল এই রেজাল্ট৷ শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি মেয়ের পাশে থেকেছেন সব সময়৷