এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা করেছেন তিনি৷ ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের মুখ হিসেবে প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর শপথ আরও একবার প্রমাণ করে দিল ভারতীয় গণতন্ত্রের নজিরবিহীন শ্রেষ্ঠত্ব। ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, “এটিই প্রমাণ যে দরিদ্ররাও স্বপ্ন দেখতে পারেন এবং তাঁদের স্বপ্নপূরণও করতে পারেন৷’ দ্রৌপদী নামটার মধ্যেই যেন রয়েছে সেই রক্তগরম করা বিষয়৷ তবে তাঁর নাম কিন্তু জন্মের সময় থেকেই দ্রৌপদী ছিল না৷ মহাভারতের দ্রৌপদীর নামেই তাঁর নামকরণ করা হয়েছিল।
দ্রৌপদী জানিয়েছেন, তাঁর নাম প্রথমে ছিল পুটি। পরে সেই নাম বদলে স্কুলের এক শিক্ষক তাঁর নাম রাখেন দ্রৌপদী। পাশাপাশি তিনি ভাগ করেছেন নামকরণের প্রসঙ্গও৷ তাঁদের পরিবারে নামকরণ কীভাবে করা হয়, সে কথাও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর পরিবারে মেয়ে হলে ঠাকুরমার নামে নামকরণ করা হয়। আর ছেলে হলে নামকরণ হয় ঠাকুরদার নামে।
সোমবার রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু৷ সংসদের সেন্ট্রাল হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা (NV Ramana)। প্রথম আদিবাসী মহিলা হিসাবে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিকের আসনে বসলেন দ্রৌপদী। শপথ নেওয়ার আগে এদিন সকালে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন নতুন রাষ্ট্রপতি। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।