তৃণমূলের অবস্থান জেনেও ভোট চাইবেন মার্গারেট আলভা

তৃণমূলের অবস্থান জেনেও ভোট চাইবেন মার্গারেট আলভা

#নয়াদিল্লি : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে সমর্থন চাইবেন মার্গারেট আলভা। তবে, অবস্থান বদল করছে না তৃণমূল। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্তেই অনড় থাকছে দল। দিল্লিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আজ ফের একবার দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন সংসদ সৌগত রায়। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আগামী ৬ অগস্ট। ফল ঘোষণা ওইদিনই। বিজেপি তথা এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মার্গারেট আলভাকে প্রার্থী করেছে বিরোধীরা। সেই শিবিরে নেই তৃণমূল।

২১ জুলাই তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকবে তৃণমূল। যদিও সমর্থন আদায় করতে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছেও দরবার করবেন মার্গারেট আলভা। ব্যক্তি জগদীপ ধনখড় নিয়ে তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা অবশ্য তাঁদের মত পোষণ করেছেন। বিধানসভার উপমুখ্যসচেতক তাপস রায় জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই নানা বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করেছেন উনি। এমন অনেক বিষয়েই আমাদের দল ও সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, যা রাজ্যপাল পদে থেকে বলা যায় না। আশা করব বর্তমান রাজ্যপালের বদলে যিনিই বাংলার দায়িত্বে আসবেন, তিনি আমাদের সরকারকে সহযোগিতা করে চলবেন।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়েও পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে যাননি যশবন্ত সিনহা। এনডিএ শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু প্রসঙ্গে নরম মনোভাব দেখিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। যা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে গুঞ্জন ছিলই। এরপর আজ দিল্লিতে উপ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধির অনুপস্থিত থাকা সেই গুঞ্জনকে আরও উস্কে দিয়েছে। তার কারণ তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও তিনি শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বিরোধীদের বৈঠকে উপস্থিত হচ্ছেন না কেন তা কিন্তু স্পষ্ট করেনি তৃণমূল।

এর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী কে হবেন, তা ঠিক করতে অগ্রণী ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই দিল্লিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে প্রায় কুড়িটি বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা মিলিত হয়েছিলেন। দু’দফার সেই বৈঠক থেকে প্রথমে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে আসে শরদ পাওয়ারের নাম। পাওয়ার রাজি না হওয়ায় উঠে আসে ফারুক আব্দুল্লাহ এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধির নাম। তারাও রাজি হননি। এরপর সর্বসম্মতভাবে বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি যশবন্ত সিনহার।

Published by:Rachana Majumder

(Source: news18.com)