যারা তোমাকে দাস করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও,
জাতীয় সঙ্গীত এমন একটি গান যা যেকোনো দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। সেই দেশকে তার পরিচয়ের উপলব্ধি দেয়। প্রতিটি দেশবাসী তার জাতীয় সঙ্গীত ভালোবাসে। কিন্তু একটা দেশ যদি নিজের মতো করে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিষিদ্ধ করে? করোনার সময় থেকেই এটা প্রমাণিত হয়েছে যে চীন একটি দাম্ভিক দেশ। বাস্তবে বেইজিংয়ের শাসকরা খুবই কাপুরুষ। এদিন চীনে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। তাদের নিশ্চিহ্ন করতে, চীনা সেনাবাহিনী ট্যাঙ্কও ফেলে দিয়েছে। তবে এর পাশাপাশি চীন এমন কিছু করেছে যা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে।
জাতীয় সঙ্গীত বেইজিংয়ের সুলতানকে ভয় দেখায়
জাতীয় সঙ্গীতের সাহায্যে জিনপিংয়ের শিষ্যরা চীনাদের দেশপ্রেমের টিকা দেয়। জাতীয় সঙ্গীত যার জন্য মাওয়ের উত্তরাধিকারীরা মরার শপথ নেন। একই জাতীয় সঙ্গীত বেইজিংয়ের সুলতানকে ভয় দেখিয়েছে। চীনে প্রথম সারিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইন বাজানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কারণ চীনা সঙ্গীতের প্রথম লাইনটি জিনপিং সালতানাতের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জিনপিং সরকারের বিরুদ্ধে অনেক জায়গায় বিক্ষোভ
চীনের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইনটি হল ‘দাঁড়াও যারা দাস হতে অস্বীকার করে’, যার অর্থ দাঁড়াও তাদের বিরুদ্ধে যারা তোমাকে দাস বানানোর চেষ্টা করে। আমরা আপনাকে বলি যে অনেক জায়গায় মানুষ চীনে জিনপিং সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী মনোভাব গ্রহণ করছে। বিশেষ করে চীনে ব্যাংক কেলেঙ্কারির পর হেনান থেকে সাংহাই পর্যন্ত ক্রমাগত বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভে, লোকেরা চীনের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইনটি উচ্চারণ করছে।
চীন মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন
বর্তমানে চীন মারাত্মক ব্যাংকিং সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে অনেক ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের টাকা তুলতে নিষেধ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে বিক্ষোভ করছে। এখন অনেক জায়গায় বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিয়েছে। মানুষের ক্ষিপ্ত রূপ দেখে চীনের রাস্তায় নেমেছে পুলিশ ও ট্যাঙ্ক। গণমাধ্যম সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এমতাবস্থায় মূলধারার গণমাধ্যম থেকে এ ধরনের সংবাদ বের হওয়ার সুযোগ নগণ্য। এ কারণেই মানুষ তাদের সংঘর্ষের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করছে এবং তাদের টাকা দাবি করছে।