#কলকাতা: নির্বাচনের পর বাংলার রাজনীতিতে সেভাবে সময় দেননি মিঠুন চক্রবর্তী , কয়েকদিন আগেই বঙ্গ রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। সংগঠনের মূল স্রোতে পুনরায় কামব্যাকের পর আগামীকাল হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে বিজেপির সমস্ত বিধায়কদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করবেন মিঠুন চক্রবর্তী। তার সঙ্গে সংগঠনের অন্যান্য পদাধিকারীরাও থাকবেন। সূত্রের খবর, রাজ্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক( সংগঠন) সতীশও থাকবেন ওই বৈঠকে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার পর লোকসভা। বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে গেরুয়া শিবিরে ফের কি সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে? কত বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে প্রচার করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু তারপর থেকে কার্যত আড়ালেই ছিলেন তিনি। সম্প্রতি কলকাতা সফরে এসে বিজেপির রাজ্য দফতরে প্রথমবারের জন্য এসে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তারপর ব্যস্ত ছিলেন সিনেমার শুটিংয়ে। ফের বুধবার গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে রাজনৈতিক বৈঠককে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে।
ব্রিগেডের সভার কথা সকলেরই মনে থাকবে। ভোটের আগে তখন কার্যত ফুটছে গেরুয়া শিবির। তখনই ব্রিগেডের ভরা সভায় মিঠুন চক্রবর্তীকে বিজেপির মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। ফিল্মি কায়দায় সেদিন ভাষণও দিয়েছিলেন মিঠুন। তার পর বিধানসভা ভোটের প্রচারে কার্যত চষে ফেলেছিলেন জেলা থেকে শহর। উপচে পড়া ভিড় ছিল মিঠুনের নানা প্রচার সভায়। স্বাভাবিক ভাবে সেই মিঠুনকে ময়দানে ফিরিয়ে নিজেদের কিছুটা চাঙ্গা করতে চাইছে বিজেপি। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি মিঠুন চক্রবর্তীকে বাংলার সক্রিয় রাজনীতিতে ময়দানে নামাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপিও। মিঠুনের সঙ্গে বাংলা এবং বাঙালি আবেগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফসল তোলাই গেরুয়া শিবিরের মূল লক্ষ্য বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।
ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইসুকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে নামার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রাজ্য বিজেপি। শাসক দলের দুর্নীতি ইসুকে হাতিয়ার করে রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই নানান রাজনৈতিক কর্মসূচি চূড়ান্ত করার ব্যাপারে চলছে তৎপরতা। এরই মধ্যে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক ও নেতৃত্বদের নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর বৈঠক রাজনৈতিকভাবে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
VENKATESWAR LAHIRI