নতুন দিল্লি :
অমিতাভ বচ্চন বলিউডের এমন একজন ব্যক্তিত্ব যার সম্পর্কে তার ভক্তরা সবসময় নতুন নতুন তথ্য জানতে চায়। তারপর সেটা তার ফিল্ম লাইফ থেকে হোক বা ব্যক্তিগত জীবনের সাথে সম্পর্কিত যেকোন কিছু। অমিতাভ বচ্চনকে নিয়েও অনেক বই লেখা হয়েছে। এরকম একটি বই হল পুষ্প ভারতীর ‘অমিতাভ বচ্চন জীবন গাথা’ যেখানে লেখক তাঁর সম্পর্কে অনেক মজার কথা বলেছেন। শুধু তাই নয়, এই বইটিতে অমিতাভ বচ্চন তার জীবন ও শৈশব সম্পর্কিত অনেক মজার রহস্যও খুলেছেন।
এছাড়াও পড়ুন
অমিতাভ বচ্চনের শৈশবের এমনই একটি উপাখ্যান পাওয়া যায় পুষ্প ভারতীর ‘অমিতাভ বচ্চন জীবন গাথা’-তে, যেখানে তিনি একটি বাংলোর রহস্য জানতে টাকা চুরি করেছিলেন। অমিতাভ বচ্চন এই বইতে একটি উপাখ্যান বলেছেন এভাবে: অমিতাভ বচ্চন তখন এলাহাবাদের ক্লাইভ রোডে থাকতেন। তার বাড়ির সামনে একটা বড় কোঠি ছিল। যা সম্পর্কে লোকে বলত সেখানে এক বৃদ্ধা রাণী থাকতেন। তার নাম ছিল রানি বেত্তিয়া কি কোঠি। যার চারদিকে উঁচু দেয়াল ছিল। কেউ ভেতরে যেতে পারেনি। সেই রাণীকে কেউ কখনও দেখেনি এবং আমরা কৌতূহলী থাকতাম যে কোনওভাবে সেই গেটে প্রবেশ করে ভিতরের পরিবেশ দেখতে পাব। খুব রহস্যময় ছিল সেই বাড়ির একটি ছবি। গেটের বাইরে প্রচুর প্রহরী ঘুরে বেড়াত। আমার মনে আছে, আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি ভেতরে ঢুকে দেখতে যে, এই গেটের পেছনে কী আছে, কী আছে এই বাড়িতে।
অমিতাভ বচ্চন আরও ব্যাখ্যা করেছেন, ‘একবার সেই প্রহরী বলেছিল যে আপনি যদি চার আনা আনেন তবে আমরা আপনাকে গেটের ভিতরে যেতে দেব। তখন আমার মায়ের ড্রেসিং টেবিলের কথা মনে পড়ল, যার উপরে একটি ছোট বাক্স রাখা ছিল। যার মধ্যে হয়তো সে কিছু চুড়ি বা এরকম কিছু ছোট জিনিস রাখতেন। তার ভেতরেও কিছু পরিবর্তন লুকিয়ে ছিল। আমার মনে আছে আমি তার কাছ থেকে টাকা চুরি করেছিলাম এবং ধরাও পড়েছিলাম। মৃত্যুও ছিল। যাইহোক, সেই দারোয়ানকে টাকা দিলেও আমরা বাড়ির ভিতরে যেতে পারিনি। পুষ্প ভারতীর বই ‘অমিতাভ বচ্চন জীবন গাথা’ প্রকাশ করেছে বাণী প্রকাশন।