কাঁচালঙ্কায় কামড় বসাতেও বাংলাদেশ এখন তাকিয়ে আছে ভারতের দিকে!

কাঁচালঙ্কায় কামড় বসাতেও বাংলাদেশ এখন তাকিয়ে আছে ভারতের দিকে!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের (India) বাজারে মূল্যবৃদ্ধির খবর তো আমরা সবাই জানি। এবার সামনে এল বাংলাদেশের (Bangladesh) বাজারের খবর। বাংলাদেশের বাজারে দাম বেড়েছে কাঁচালঙ্কার (Chillies)। আর এর জেরেই আবার ভারতের মুখাপেক্ষি হয়েছে বাংলাদেশ। ভারত থেকে কাঁচালঙ্কা আমদানি করা শুরু করেছে তাঁরা। বাংলাদেশের বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং একইসঙ্গে চাহিদা তুঙ্গে থাকায় ভারত থেকে কাঁচালঙ্কা আমদানি শুরু করেছেন বাংলাদেশের স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পরেই ভারত থেকে লঙ্কার আমদানি শুরু করেছেন তাঁরা। বুধবার সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে এসে পৌঁছেছে এক ট্রাক কাঁচালঙ্কা। এই এক ট্রাকে মোট ১২ টন লঙ্কা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ভোমরা বন্দরের বিপরীতে থাকা ঘোজাডাঙা বন্দরে আরও কয়েক ট্রাক লঙ্কা অপেক্ষা করছে।

সাতক্ষীরা বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন প্রথম দিনে ১২ টন কাঁচালঙ্কা আমদানি করা হয়েছে এবং এখনও প্রায় পনেরো টন লঙ্কা বাংলাদেশ পৌঁছানর অপেক্ষায় রয়েছে। ঘোজাডাঙা বন্দরে থাকা লঙ্কা আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বাংলাদেশের স্থলবন্দরে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দাম বেড়েছে লঙ্কার অন্যদিকে বেড়েছে লঙ্কার চাহিদা। এই চাহিদা বৃদ্ধিই ব্যবসায়ীদের লঙ্কা আমদানিতে উদবুদ্ধ করেছে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে ভারতের লঙ্কা বাংলাদেশের বাজারে পৌঁছালে সেখানে বাজারের অবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের ধারণা পদ্মা সেতু তৈরি হওয়ায় সাতক্ষীরার স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে এবং ভারত থেকে সহজেই বাংলাদেশের বাজারে পৌঁছাবে আমদানি হওয়া দ্রব্য।

এই ‘পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ’-এর (Padma Multipurpose Bridge) উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Bangladesh Sheikh Hasina)। ব্রিজের প্রথম টোলও দেন তিনিই। যে পথ অতিক্রম করতে এতদিন (ফেরিতে) ১০-১১ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন এই নতুন সেতুর সূত্রে মাত্র ঘণ্টাখানেকেই সেই দূরত্ব পার করা যাবে। পদ্মা সেতু তৈরির ফলে ঢাকার সঙ্গে সড়কপথে যুক্ত হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর ‘মঙ্গলা’। সড়ক এবং রেলপথে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকা যাওয়ার সময়টাও একধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে বলেও শোনা যাচ্ছে।

২০১১ সালে পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। পরে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাঙ্ক অর্থের জোগান বন্ধ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Bangladesh Sheikh Hasina) ঘোষণা করেন, কারও সাহায্যে নয়, বাংলাদেশ নিজেদের সামর্থ্যেই পদ্মা সেতু গড়বে। ২০১৪ সাল থেকে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় এই সেতু।

(Source: zeenews.com)