জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নতুন নিয়ম তৈরি হল নিউজিল্যান্ডে। এবার থেকে নিউজিল্যান্ডে ১৮ বছর বয়স হলেও কোনও মানুষ সিগারেট খেতে পারবে না। এমনই নতুন নিয়ম তৈরি হয়েছে সেই দেশে। এই আইন কার্যকর করার জন্য নিউজিল্যান্ড সরকার একটি নতুন আইনের বিল এনেছে। নিউজিল্যান্ডের এই নতুন আইন যা নতুন প্রজন্মকে বৈধভাবে সিগারেট কেনা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ১৮ বছর বয়সে পৌঁছানোর পরও ধূমপান করতে পারবে না। নিউজিল্যান্ডের সব সংসদ সদস্য এই বিষয়ে একমত হয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের সরকার একটি ধূমপান মুক্ত প্রজন্ম তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে। নতুন আইনের জন্য তারা একটি বিল প্রবর্তন করেছে। এই বিলে সিগারেট কেনার একটি বয়স যুক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে ২০০৮ সালের পরে জন্মান কেউ বৈধভাবে সিগারেট কিনতে পারবে না। এই আইনের ফলে তরুণরা নিউজিল্যান্ডে আর বৈধভাবে সিগারেট কিনতে পারবে না।
নতুন বিল নিয়ে নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে বিতর্ক হয়েছে। পার্লামেন্টে আলোচনা করা হয় যে ধূমপানের বয়স বাড়ানোর হবে। এর পাশাপাশি তারা সিগারেট সহ নিকোটিন সামগ্রী ব্যাপকভাবে কমানোর কথা ভাবা হয়েছে। একি সঙ্গে সেগুলিকে দোকান এবং সুপারমার্কেটের পরিবর্তে শুধুমাত্র বিশেষ তামাকের দোকানে বিক্রি করার অনুমতি দেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছে।
অধিকাংশ দলই এই আইনের পক্ষেবলে জানা গিয়েছে। বিরোধী ন্যাশনাল পার্টির ম্যাট ডুসি বলেছেন যে তার দল এই সময়ে এই আইন সমর্থন করছে। যদিও এই আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। তবে বিলটি উত্থাপনের পর শুধুমাত্র লিবার্টারিয়ান অ্যাক্ট পার্টিই এর বিরোধিতা করেছ বলে জানা গিয়েছে।
এই বিল পাসের পরে সেই দেশের সরকার আশা করছে যে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষ ধূমপান করবে। অন্যদিকে একই সময়ে, মালয়েশিয়া সরকার একি রকম ভাবনা চিন্তা করছে। ২০০৭ সালের পরে জন্ম নেওা প্রত্যেকের কাছে ধূমপান এবং ই-সিগারেট সহ সমস্ত তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবীরা বলছেন যে স্থানীয় নীতি নির্ধারকদের একই কাজ করার সুযোগ রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মতো, অস্ট্রেলিয়ার মানুষের মধ্যেও ধূমপানের হার জনসংখ্যার মাত্র ১০.৭ শতাংশ, যা বিশ্বের সর্বনিম্নগুলির মধ্যে একটি। যদিও প্রতিটি দেশের মধ্যে যে যায়গায় সবথেকে বেশি মিল রয়েছে, তা হল সেখাঙ্কার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা সবথেকে বেশি।
(Source: zeenews.com)