দেশে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে শহুরে ভারতীয়রা
শহুরে ভারতীয়রা দেশের বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সব থেকে বেশি বেকারত্ব নিয়ে ভারতীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ৩৭ শতাংশ ভারতীয় বেকারত্ব, ২০ শতাংশ অর্থিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতি, ২৬ শতাংশ অপরাধ ও হিংসা, ২২ শতাংশ দারিদ্র ও সামাজিক বৈষম্য, ও ২০ শতাংশ করোনা মহামারী, ১৭ শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তন ও ১৬ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, এই বিষয়গুলো ভারতীয়দের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে।
দেশের বেকারত্বের হার নিয়ে চিন্তিত ভারতীয়রা
ইপসোস ইন্ডিয়ার সিইও অমিত আদরকার জানিয়েছেন, দেশের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে কর্মসংস্থান বাড়ছে না। তারমধ্যে করোনা মহামারীর জেরে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় ব্যাপক পরিমাণে কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। যার জেরে দেশে বেকারত্বের হার এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, বেকারত্বের পাশাপাশি দুর্নীতি, অপরাধ ও দারিদ্রের হার বেড়ে গিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির জেরে সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ে হাত পড়ছে। যা দারিদ্র বৃদ্ধির নেপথ্যে অনেকটা বড় কারণ বলে তিনি মনে করছেন।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বেশিরভাগ নাগরিক। সমীক্ষায় প্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে সব থেকে উদ্বিগ্ন আর্জেন্টিনা (৬৫ শতাংশ)। তারপরেই রয়েছে পোলান্ড, চিলি, তুরস্ক। কানাডা ও আমেরিকার মতো প্রথম বিশ্বের দেশ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে চলেছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এভাবে পরিস্থিতি এগোলে চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা সামনের বছরের শুরুর দিকে আমেরিকায় আর্থিক মন্দা দেখতে পাওয়া যাবে।
সমীক্ষায় কারা অংশ নিয়েছিলেন
ইপসোস হোয়াট ওরিয়স দ্য ওয়ার্ল্ড গ্লোবাল প্রতিমাসে একটি সমীক্ষা করে। সমীক্ষার ভিত্তিতে দেশের জনমত বিচার করে। এই সমীক্ষায় প্রায় ২৭টি দেশের জনমতের ওপর নজর রাখে। ভারতের পাশাপাশি সমীক্ষায় অংশ নেওয়া দেশগুলির মধ্যে রয়েছে, কানাডা, ইজরায়েল, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, আমেরিকা সহ একাধিক দেশ। মূলত ১৮ থেকে ৭৪ বছরের ২০,০২২ নাগরিকদের মধ্যে অনলাইনের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ২৪ জুন থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়।