#মেমারি: ফের তোলাবাজির অভিযোগ শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে। এ বার নির্মাণ কাজের জন্য দলের নাম করে ১ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল। টাকা না দিলে পঞ্চায়েতকে দিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। মেমারির এই ঘটনা জানাজানি হতেই জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুরু হয়েছে, শাসক বিরোধী চাপানউতোর।
অভিযোগ মেমারী ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের-সহ সভাপতি সন্দীপ পরামানিকের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সন্দীপ।মেমারী ১ নং ব্লকের গোপগন্তার ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুরের বাসিন্দা সত্যব্রত হাজরা ওরফে গৌতম হাজরার অভিযোগ, তিনি পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়ে রাধাকান্তপুরে একটি গ্যারাজঘর নির্মাণের কাজ করছিলেন। সেই নির্মাণ কাজ করার জন্য তৃণমূলের নাম করে ১ লক্ষ টাকা চান তৃণমূল নেতা সন্দীপ প্রামানিক। টাকা না দিলে পঞ্চায়েতকে দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
তার দু’দিনের মধ্যেই পঞ্চায়েত থেকে কাজ বন্ধ করার নোটিশ আসে।সত্যব্রত হাজরার দাবি, তিনি পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়েই এই নির্মাণ কাজ করছিলেন। যে জায়গায় তিনি এই নির্মাণ কাজ করছেন সেই দাগ নম্বরে দুটি ঘর ও একটি দোকানঘর আছে। এমনকি দলিলেও ভরাটি ডোবা বলে উল্লেখ আছে। তা সত্ত্বেও তৃণমূল নেতা সন্দীপ পরামানিক ডোবা বুঝিয়ে ঘর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এবং ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন। অভিযোগ, সেই টাকা না দেওয়ায় ২ দিন পরেই পঞ্চায়েত সত্যব্রতকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। ইতিমধ্যেই তিনি মেমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
যদিও গোপগন্তার ২ এর পঞ্চায়েত প্রধান অঞ্জলি মল্লিকের দাবি নির্মাণকার্য করার জন্য ওই ব্যক্তিকে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তিনি নির্মাণ কাজের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁর জায়গার নথিতে ডোবা লেখা আছে।স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করায় কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত রকমের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা সন্দীপ পরামানিকের দাবি, ডোবা বুজিয়ে নির্মাণকার্য চলছিল। এলাকাবাসীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেই কাজ পঞ্চায়েত বন্ধ করে দিয়েছে।এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তার জবাব আইন মোতাবেকই দেব।
এ দিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের কটাক্ষ, নির্মান করতে গেলে দলীয় ফাণ্ডের নামে টাকা নেওয়া,এই সংস্কৃতি তৃণমূল ভুলতে পারছে না। কারণ তোলা না তুলতে পারলে তৃণমূলের একটা নেতাও থাকবে না। যদিও জেলা তৃণমুলের মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসের দাবি, তদন্ত করে অভিযোগ প্রমানিত হলে অভিযুক্তের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই। ঘটনা সত্য হলে দল ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূল জোর করে টাকা নিয়ে ফান্ড তৈরি করে না।
Saradindu Ghosh
(Source: news18.com)