মৃত্যুর ৩০ বছর পর সাতপাকে বাঁধা পড়লেন শোভা এবং চণ্ডাপ্পা

মৃত্যুর ৩০ বছর পর সাতপাকে বাঁধা পড়লেন শোভা এবং চণ্ডাপ্পা

সাতপাকে বাঁধা পড়লেন শোভা এবং চণ্ডাপ্পা৷ কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় রীতি ও ঐতিহ্য মেনে তাঁদের বিয়ে হল ৷ তবে বর এবং কনে দু’জনের কেউই সশরীরে থাকতে পারেননি বিবাহমণ্ডপে ৷ কারণ ৩০ বছর আগেই তাঁদের মৃ্ত্যু হয়েছে৷ তাই এই জুটির বিয়ে সাধারণ রীতিতে হয়নি৷ এই বিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘প্রেত কল্যাণম্’ মতে ৷ অর্থাৎ মৃতদের বিয়ে৷

‘প্রেত কল্যাণম্’ রীতি এখনও পালিত হয় কর্নাটক ও কেরলের কিছু অংশে৷ এই রীতিতে বিয়ে দেওয়া হয় দুই মৃত শিশুর যারা বহু বছর আগে ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় মারা গিয়েছে ৷ প্রচলিত বিশ্বাস, এভাবে আত্মাদের সম্মান জানানো হয় ৷ ইউটিউবার অ্যানি অরুণ এই অদ্ভুত বিয়ের কথা শেয়ার করেছেন ট্যুইটারে ৷ লিখেছেন ‘‘আমি আজ একটা বিয়েতে এসেছি৷ আপনাদের মনে হতেই পারে এটা ট্যুইট করার মতো ঘটনা কেন৷ আসলে, এখানে বর ও কনে দু’জনেই মৃত৷ প্রায় ৩০ বছর আগে৷ এবং তাঁদের বিয়ে হচ্ছে আজকে৷’’

আরও পড়ুন : উড়ন্ত বিমানে খাবারে সাপের মাথা! দেখুন ভাইরাল ভিডিও

বিয়ের রীতি আর পাঁচটা বিয়ের মতোই স্বাভাবিক ৷ শুধু পার্থক্য এই যে এখানে বর ও কনের জায়গায় ব্যবহার করা হয় তাঁদের কুশপুতুল ৷ ইউটিউবার অরুণ জানিয়েছেন কর্নাটক ও কেরলের কিছু অংশে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ রীতি৷ ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময়ে মারা গিয়েছে এমন দুই শিশুর বিয়ে দেওয়া হয় ৷ বাকি সব রীতি অন্যান্য বিয়ের মতোই৷ বিয়ের আগে বাগদানের জন্য দুই পরিবার দু’জনের বাড়িতে যায়৷

দু’জন মৃতের বিয়ে হচ্ছে মানে এই নয় যে পরিবেশ শোকাচ্ছন্ন৷ বরং বিয়েবাড়ির মতোই হাস্যকলরবে মুখরিত থাকে পারিপার্শ্বিক ৷ তবে শিশু ও অবিবাহিতদের এই বিয়ে দেখতে দেওয়া হয় না৷ থাকে ভুরিভোজের আয়োজনও৷ ফিশফ্রাই, চিকেন সুক্কা, কাডলে বালিয়ার, মাটন গ্রেভি ছিল ডায়েটে ৷

এই বিয়েতেও প্রার্থনা ও শুভকামনা জানানো হয় যাতে দম্পতি চিরতরে সুখে শান্তিতে থাকে৷

Published by:Arpita Roy Chowdhury

(Source: news18.com)