প্রতিদিন শরীরের উপরে সীমাহীন অত্যাচার, লিভার ভাল রাখতে দুর্দান্ত টোটকা

প্রতিদিন শরীরের উপরে সীমাহীন অত্যাচার, লিভার ভাল রাখতে দুর্দান্ত টোটকা

সারাদিন ধরে ফাস্ট ফুড, প্যাকেটজাত খাবার। এর সঙ্গে অত্যধিক মদ্যপান কিংবা স্ট্রেস। এই সব কিছুর বোঝা একা বয় লিভার। শরীরকে ঠিক রাখতে নিঃশব্দে কাজ করে। লিভারকে একটা ছোট্ট অঙ্গ মনে হতে পারে, কিন্তু জেনে অবাক হতে হবে, শরীরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য এই অঙ্গটার প্রয়োজন। পিত্ত, প্রোটিন এবং কোলেস্টেরল উৎপাদন থেকে শুরু করে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এবং খনিজ সঞ্চয় করা, খাদ্য, অ্যালকোহল, ওষুধ থেকে টক্সিনকে বের করে দেওয়ার কাজ করে লিভার।

এমনকী মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যেও লিভার প্রভাব ফেলে। তাই এই অঙ্গের যত্ন নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু সাধারণ খাবার এবং পানীয়ের হদিশ দেওয়া হল যা লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং প্রাকৃতিকভাবে কোষের পুনর্জন্মকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।

চা: হ্যাঁ, লিভারের কার্যকারিতা এবং কোষের পুনর্জন্ম বাড়াতে সাহায্য করে চা। বিশেষ করে ব্ল্যাক টি এবং গ্রিন টি পান করলে লিভারের এনজাইমের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। সঙ্গে লিভারের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। একটি জাপানি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন চা পান করা লিভারের স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে রক্তের মার্কারের উন্নতি করতে সাহায্য করে।

মুসম্বি লেবু: এটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যা প্রাকৃতিকভাবে লিভারকে রক্ষা করে এবং কোষের মেরামত ও পুনর্জন্মে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি হেপাটিক ফাইব্রোসিস হওয়ার সম্ভাবনা কমায়, যা লিভারে ক্ষতিকারক সংযোগকারী টিস্যু তৈরির কারণে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ এবং ব্যথা সৃষ্টি করে। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নারিনজেনিন এবং নারিঙ্গিন নামে পরিচিত, যা লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা প্রতিরোধ করে এবং প্রদাহ কমায়।

চর্বিযুক্ত মাছ: ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, চর্বিযুক্ত মাছ হল প্রদাহ নিরাময় এবং লিভারে চর্বি জমা কমানোর অন্যতম সেরা প্রতিকার। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন চর্বিযুক্ত মাছ খেলে লিভারের চর্বি এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমে। যাঁদের নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বা নন-অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিস রয়েছে তাঁদের জন্য এটা দারুণ উপকারী। শুধু তাই নয়, প্রাকৃতিক কোলাজেনের উপস্থিতির কারণে এটা কোষ এবং টিস্যু পুনর্জন্মেও সহায়তা করে।

বিটরুটের জুস: লিভারের স্বাস্থ্য বাড়ানোর আরেকটি সহজ উপায় হল প্রতিদিন বিটরুটের জুস পান। এটা লিভার এবং হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং কোষের পুনর্জন্ম ঘটায়।

বেরি: তাজা বা শুকনো বেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা অ্যান্থোসায়ানিন নামে পরিচিত। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরির মতো বেরি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে হওয়া ক্ষতি কমায়। শুধু তাই নয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বেরি শরীরে টিউমার বা ফাইব্রোসিস রোধেও সাহায্য করে।

Published by:Arjun Neogi

(Source: news18.com)