চাঁদের গুহায় থাকতে পারে মানুষ, আরামদায়ক বাসস্থান খুঁজে দিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

চাঁদের গুহায় থাকতে পারে মানুষ, আরামদায়ক বাসস্থান খুঁজে দিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

চাঁদের গুহা হবে মানুষের বাসস্থান!

নাসা জানিয়েছে, চাঁদের গুহায় মানুষের বসবাস করার মতো উপযুক্ত তাপমাত্রা রয়েছে। মানুষ যেখানে বসবাস করতে পারে এমন গর্ত খুঁজে পাওয়া গিয়েছে চাঁদের মাটিতে। গবেষকরা মনে করছে, মানুষ যদি চাঁদে যেতে পারে, চাঁদের গুহায় থাকতে পারে, তবে চাঁদের কক্ষপথ আর তার চারপাশ নিয়ে আরও বেশি গবেষণা করতে পারবে। সেদিনের অপেক্ষায় দিন গুণছেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা।

চাঁদ কি মানুষের আশ্রয়স্থল হওয়ার যোগ্য

চাঁদ কি মানুষের আশ্রয়স্থল হওয়ার যোগ্য

নাসা মনে করছে, সেদিন আর বেশি দূরে নয়। মানুষ আগামী দশকেই যেতে পারে চাঁদে। কিন্তু চাঁদ আদতে বায়ুহীন পৃথিবী। সেই বায়ুহীন পৃথিবীকে প্রজাতির বেঁচে থাকার সহায়ক করে তুলতে হবে। তা নিশ্চিত হলেই মানুষ চাঁদে যেতে পারবে। বিজ্ঞানীরা এখন চাঁদের গর্তগুলিতে তাপমাত্রার স্থিতিশীলতা পরীক্ষা করছেন। তা মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠার যোগ্য কি না খতিয়ে দেখতে চাইছেন।

চাঁদের গর্তগুলিতে তাপমাত্রা বসবাসের উপযোগী

চাঁদের গর্তগুলিতে তাপমাত্রা বসবাসের উপযোগী

নাসার বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে চাঁদের গর্তগুলিতে তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। চাঁদের পৃষ্ঠের অঞ্চলগুলির তুলনায় তা মানুষের বসবাসের অত্যন্ত উপযোগী বলেই মনে করা হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য চাঁদে দিনের বেলায় তাপমাত্রা ১২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। আর রাতের বেলায় সেই তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ১৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের আশ্রয়স্থল চাঁদের গুহা

ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের আশ্রয়স্থল চাঁদের গুহা

লুনার রিকন্নাইজেন্স অরবিটার থেকে ডেটা নিয়ে বিজ্ঞানীরা চাঁদের গর্তগুলি খুঁজে পেয়েছেন। এই গর্তগুলি আবিষ্কার হয়েছিল ২০০৯ সালে। এই আবিষ্কার চন্দ্র-গবেষণাকে উৎসাহিত করার একা ভালো দিক। ওই গুহাগুলি চাঁদে গবেষণা চালানোর একটা ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে। ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে চাঁদের ওই গুহাকে।

চাঁদের স্থিতিশীল পরিবেশে নতুন সম্ভাবনা

চাঁদের স্থিতিশীল পরিবেশে নতুন সম্ভাবনা

জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে চাঁদের গর্ত বা গুহাগুলি দীর্ঘমেয়াদি অনুসন্ধান ও চাঁদের বাসস্থানের জন্য নাতিশীতোষ্ণ স্থিতিশীল ও নিরাপদ তাপীয় পরিবেশ প্রদান করতে পারে। চাঁদের গর্তগুলি চন্দ্রপৃষ্ঠের একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য। চাঁদের এই স্থিতিশীল তাপীর পরিবেশ একটা সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।

চাঁদের শিলা ও ধূলিকণার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে

চাঁদের শিলা ও ধূলিকণার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে

চাঁদের ওই গর্তে সূর্যের তেজ সরাসরি প্রতিফলিত হয় না। চন্দ্রপৃষ্ঠে তাপমাত্রার তীব্রতা থাকলেও গুহায় তাপমাত্রা উপযোগী হয়। চাঁদের শিলা ও ধূলিকণার তাপীয় বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে গর্তের তাপমাত্রার একটা তালিকা তৈরি করা হয়। এই কাজে ব্যবহার করা হয় কম্পিউটার মডেলিং। একটি গুহা গর্তের নীচে থেকে প্রসারিত হয়। লুনার রিকন্নাইসেন্স অরবিটারের ক্যামেরা দ্বারা যে চিত্রগুলি উঠে এসেছে, তাতে তা আরামদায়ক বাসস্থান হিসেবেই পরিগণিত হয়েছে।

চাঁদে একটি দিন ১৫টি পৃথিবীর দিনের সমান

চাঁদে একটি দিন ১৫টি পৃথিবীর দিনের সমান

চাঁদের এই গুহাগুলিতে কোনও প্রাণীকূলও থাকতে পারে। এখানে একটি দিন ১৫টি পৃথিবীর দিনের সমান। এই সময়ে চাঁদের পৃষ্ঠে ক্রমাগত সূর্যের আলো থাকে। তখন গুহায় বসবাসের উপযোগী পরিবেশ। তারপর আসে রাত। ১৫ দিন সেই রাত প্রবহমান হয়। সেইসময় গুহার পরিস্থিতি কী হয় তা নিয়েও চলছে গবেষণা।