তখন তিনি শিক্ষামন্ত্রী। ২০১৭ সালে অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যবইতে আচমকাই উঠে এসেছিল সিঙ্গুর আন্দোলনের কথা। পাঠক্রম চালু হয় ২০১৮সালে। পাঠ্যবইতে সেই আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে লেখা হয়, সেই আন্দোলনকে সুসংহত করে তার নেতৃত্ব দিলেন শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেতা পার্থ চ্যাটার্জি।
একেবারে ছাপার অক্ষরে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অতীত ও ঐতিহ্য বইতে আজও জ্বলজ্বল করছে সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। আর সেটাও একেবারে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নাম যে লাইনে রয়েছে তারই ঠিক পরের লাইনে।
নানা রথী,মহারথী, বিপ্লবী, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যে নামগুলি পড়ুয়ারা আজও পড়ছে ইতিহাসের পাঠ্যবইতে, তার মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও অন্য়তম। আর পড়ুয়ারা রোজ টেলিভিশনের পর্দায় দেখছে সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই এখন ইডির হেফাজতে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে তাঁর। কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে তার ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে। এখানেই প্রশ্ন এমন মানুষের কথা কেন উল্লেখ করা থাকবে পাঠ্যবইতে? প্রশ্ন বিরোধীদের।
বিজেপি এনিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে। বিজেপির দাবি সিঙ্গুর অধ্যায় থেকে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের নাম সরাতে হবে। বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা এনিয়ে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকেও ট্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, এই সমস্ত চোর ডাকাতদের নাম পাঠ্যবইতে থাকলে পড়ুয়াদের কী হবে। তারা তো এবার পার্থকে স্বামীজির সমতুল্য় বলে মনে করবে।
গোটা ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের অন্দরেও এনিয়ে কথা উঠতে শুরু করেছে। তবে প্রকাশ্যে তৃণমূলের দাবি, বিজেপির মুখে দুর্নীতির অভিযোগ মানায় না।