মঙ্গলের মাটি কবে এসে পৌঁছবে পৃথিবীতে, নাসার রোভার ফিরে আসার সময়সীমা নির্ধারিত

মঙ্গলের মাটি কবে এসে পৌঁছবে পৃথিবীতে, নাসার রোভার ফিরে আসার সময়সীমা নির্ধারিত

মঙ্গল গ্রহের নমুনা ফিরিয়ে আনার জন্য কর্মসূচি স্থির নাসার

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ইতিমধ্যেই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে পৃথিবীতে মঙ্গলের মাটি ফেরানোর জন্য । নাসা বলছে, ২০৩৩ সালের মধ্যে তারা পৃথিবীতে মঙ্গল গ্রহের নমুনা নিয়ে আসবে। নাসা মঙ্গল গ্রহের নমুনা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রত্যাবর্তন কর্মসূচি নিয়ে ফেলেছে। তার জন্য প্রয়োজনীয় সমীক্ষাও সেরে ফেলেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলে কনসেপচুয়াল ডিজাইন ফেজের কাজ চালানো হচ্ছে।

অভিযানকে সফল করতে কোনও ত্রুটি রাখছেন না বিজ্ঞানীরা

অভিযানকে সফল করতে কোনও ত্রুটি রাখছেন না বিজ্ঞানীরা

কবে মঙ্গল থেকে ফিরবে রোভার, তার অপেক্ষায় দিন গোনা শুরু করে দিয়েছে নাসা। অভিযানকে সফল করতে কোনও ত্রুটি রাখছেন না জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এমনভাবেই ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে যাত ভবিষ্যতে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়াতে তাঁদের অবদান খোদাই করে রাখা যায়। নাসার এই অভিযানে যুক্ত হয়েছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। ভবিষ্যৎ অভিযানের জটিলতা কমাতে এবং সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়াতে তাঁদেরও অবদান থাকবে।

মার্স হেলিকপ্টারের আশ্চর্যজনক পারফরম্যান্সের পর আশাবাদী

মার্স হেলিকপ্টারের আশ্চর্যজনক পারফরম্যান্সের পর আশাবাদী

মঙ্গলে কনসেপচুয়াল ডিজাইন ফেজের কাজে অভিযান পরিকল্পনার প্রতিটি দিককে গভীরভাবে যাচাই করে দেখা হচ্ছে। পরিকল্পনায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং ইচিবাচক পরিবর্তন ঘটছে। তার ফলেই জেজেরোতে পারসিভারেন্স রোভারের সাম্প্রতির সাফল্য এসেছে। এবং মার্স হেলিকপ্টারের আশ্চর্যজনক পারফরম্যান্সও দেখা গিয়েছে।

পারসিভারেন্স রোভারের ব্যবহার মঙ্গলের নমুনা ফেরাতে

পারসিভারেন্স রোভারের ব্যবহার মঙ্গলের নমুনা ফেরাতে

গবেষণায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এ ধরনের অত্যাধুনিক অভিযানের ক্ষেত্রে পারসিবারেন্স রোভারের কার্যকাল কতদিন স্থায়ী হতে পারে। এই বিষয়টি সাম্প্রতিক গবেষণায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঠিক হয়েছে পারসিভারেন্স রোভারকেই ব্যবহার করা হবে মঙ্গলের নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য। মঙ্গলের মাটি থেকে তা নিয়ে পারসিভারেন্স রোভার তা পৌঁছে দেবে মার্স অ্যাসেন্টেট ভেহিকল ইএসএ-র স্যাম্পল ট্রান্সফার আর্মের বিশেষ নমুনা বাহক মহাকাশ যানের কাছে।

ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার প্রযুক্তিতে কাজে লাগিয়ে বাজিমাত

ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার প্রযুক্তিতে কাজে লাগিয়ে বাজিমাত

নাসা জানিয়েছে, মঙ্গল গ্রহের নমুনা ফেরত অভিযানে আর কোনও যান বা ল্যান্ডের ব্যবহার করা হবে না। নমুনা আনতে দুটি নমুনা পুনরুদ্ধারে সহায়ক হেলিকপ্টার রাখা হবে। এগুলি তৈরি করা হয়েছে ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার প্রযুক্তিতে। এগুলে হল ছোট রোবটিক হেলিকপ্টার। নাসা এই হেলিকপ্টারই মঙ্গলে উড়িয়ে ইতিহাস তৈরি করেছে ইতিমধ্যে।

২০২৭ সালে রিটার্ন টু আর্থ শুরু, ২০৩৩-এ সারা

২০২৭ সালে রিটার্ন টু আর্থ শুরু, ২০৩৩-এ সারা

এই ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার মঙ্গলে এখন পর্যন্ত ২৯ বার উড়িয়েচে নাসা। তা সময়কাল পেরিয়েও মঙ্গলের বুকে কাজ করে চলেছে। তাই মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে তা বিশেষ সহায়ক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরেরই মধ্যেই তা পৃথিবীতে ফিরে আসবে বলে মনে করছে নাসা। ২০২৭ সালে রিটার্ন টু আর্থ অরবিটারে লঞ্চ করতে পারে বেল অনুমান তাঁদের। এবং নাসার হিসেব অনুযায়ী তা পৃথিবীতে ফিরে আসবে।