বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রহস্যে মোড়া চর্চিত কয়েকটি স্থান, যা আমাদের অবাক করে

বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রহস্যে মোড়া চর্চিত কয়েকটি স্থান, যা আমাদের অবাক করে

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যা ডেভিলস ট্রায়াঙ্গেল নামে পরিচিত। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলও বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় স্থান।আটলান্টিক মহাসাগরে তৈরি হয়েছে এই ট্রায়াঙ্গেল। সমুদ্রের এই রহস্যময় অঞ্চলের উপর দিয়ে যা কিছু যায় তাকে একটি অদৃশ্য শক্তি টেনে নিয়ে যায়, বলে জানা গেছে। বেশকিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছে এই স্থানে। অনেকে মনে করেন এই অন্তর্ধানের কারণ নিছক দূর্ঘটনা, যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। আবার চলতি উপকথা অনুসারে এসবের পেছনে দায়ী হল কোন অতিপ্রকৃতিক কোন শক্তি। বিশ্বের এটি এমন এক স্থান, যাকে ঘিরে মানুষের মনে কৌতুহল শেষ হয় না।

মিশরের গিজার গ্রেট পিরামিড

মিশরের গিজার গ্রেট পিরামিড

মিশরের পিরামিড নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। পিরামিডের মালভূমি গিজা পর্যটকদের অন্য়তম টুরিস্ট স্পট। ৫ হাজার বছর আগে মিশরে গিজার পিরামিড তৈরি হয়েছিল। অত বড় বড় পাথরের ব্লক একটির উপর একটি বসিয়ে অত উঁচু পিরামিড কীভাবে বানানো হয়েছিল, সেই বিষয়টি আজও মানুষকে ভাবতে বাধ্য করে। পাশাপাশি পিরামিডের ভেতরে ১০০ ফুট লম্বা একটি করিডর রয়েছে, যা রানি এবং রাজার কখকে যুক্ত করেছে। তবে এই করিডরে পৌঁছানো এখনও সম্ভব হয়নি। গবেষকদের মাতে, পিরামিড তৈরির সময় শ্রমিকদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য় এই করিডর বানানো হয়েছে। তবে অনেকে মনে করেন, এখানে হয়ত কোন গুপ্তধন লুকানো আছে। ১৯ শতকে গিজার পিরামিড আবিষ্কৃত হওয়ার পর এটাই পিরামিড নিয়ে সবচেয়ে বড় খোঁজ বলা যেতে পারে। প্রাচীনকালের সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে একমাত্র গিজার এই পিরামিড এখনও তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এরিয়া ৫১

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এরিয়া ৫১

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডায় অবস্থিত এই জায়গাটিকে নিয়ে বিশ্ববাসীর ঘোর এখনও কাটেনি। এটি একটি মিলিটারি বেইজ। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনীদের জন্য় জায়গাটি তৈরি হয়। এই স্থানটির বাইরে যে বিশাল এলাকা রয়েছে, সেখানেও মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কিন্তু সেখানে কী কর্মকান্ড চলে তার উত্তর এখনও অধরা। পৃথিবীর একটা বিশাল অংশের মানুষের ধারনা ওখানে এলিয়ান নিয়ে গবেষণা করা হয়। অনেকে বিশ্বাস করেন ওখান থেকেই এলিয়ানদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে।

পোল্যান্ডের ক্রুক্ড ফরেস্ট

পোল্যান্ডের ক্রুক্ড ফরেস্ট

পোল্যান্ডের ক্রুক্ড ফরেস্ট ইউরোপের রহস্য়ময় স্থানগুলোর মধ্যে একটি। এই বনাঞ্চলের গাছগুলি অদ্ভুত ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পোল্যান্ডের পশ্চিমে গ্রিফিনো শহরের কাছেই রয়েছে এই জঙ্গলটি। ক্রুকেড ফরেস্টে যে পাইন গাছগুলো দেখা যায় তার আকার অদ্ভূত প্রকৃতির। গাছগুলোকে দেখে মনে হয়, কেউ যেন গাছগুলোকে উল্টে দিয়েছে, তার জন্য় বিচিত্র ভাবে বেঁকে রয়েছে গাছগুলি। অনেকে মনে করেন, ভূমিকম্পের কারণে এই বণভূমির গাছগুলি এই আকার নিয়েছে। এই বিচিত্র জঙ্গলে পর্যটকরা বেড়াতে আসেন প্রায়ই। কিন্তু গাছের আকৃতির কারণ নিয়ে সংশয় রয়েই গিয়েছে। এখনও এই নিয়ে গবেষণা চলছে।

চিলির ইস্টার আইল্যান্ড

চিলির ইস্টার আইল্যান্ড

জানা গেছে, প্রাচীনকালে এই দ্বীপের নাম ছিল রাপা নুই। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটি চিলির অন্তর্গত। ইস্টার আইল্যান্ড ঘুরতে যাওয়ার জন্য বিমানের ওপরই নির্ভর করা হয়। বর্তমানে এটি একটি পর্যটনকেন্দ্র। এই দ্বীপে আসলে দেখতে পাওয়া যায় অনেকগুলি পাথরের মূর্তি। এই পাথরের মূর্তিগুলি মোয়াই নামে পরিচিত, মূর্তিগুলি অদ্ভুত প্রকৃতির। মূর্তিগুলির মুখমন্ডল সাড়া দ্বীপে ইতিউতি ছড়ানো রয়েছে। এগুলোর মুখমন্ডল লম্বা। এছাড়াও এর নাকগুলি লম্বা ধরনের, ঠোঁটগুলো বেশ চওড়া। কানগুলি সরু লম্বাটে প্রকৃতির । ২০১২ সালে খনন কার্য চালিয়ে মাটির নীচে দেহের বাকি অংশ খুঁজে পাওয়া যায়। পর্যটকরা অবাক হন এই দ্বীপের এতগুলি মূর্তি নিয়ে। রহস্য আরও ঘনীভূত হয় যখন মূর্তির মাথা সাথে সাথে মাটির নীচে দেহ খুঁজে পাওয়া যায়।