নয়াদিল্লি: নির্বাচনের আগে ভোটারদের বিনামূল্যে নানা সুবিধার প্রতিশ্রুতি এবং পরে তা রক্ষা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি, এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দায়ের করা একটি মামলায় বলা হয়েছিল, নির্বাচনের আগে ভোট পেতে বিনামূল্যে বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়ার কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলি। যথারীতি প্রভাবিত হন ভোটাররা। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে দেশের আর্থিক ব্যবস্থার উপর চাপ পড়ে৷
The ‘Freebie’ Alarm | Are SOPs ruining India’s future?
Watch #NewsEpicentre with @maryashakil at 10:30 pm only on CNN-News18. pic.twitter.com/KyKHF0Rk5C
— News18 (@CNNnews18) August 3, 2022
২২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছিল যে নির্বাচনের আগে জনসাধারণের তহবিল থেকে অযৌক্তিক বিনামূল্যের প্রতিশ্রুতি ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে৷ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের শিকড় নাড়িয়ে দিতে পারে৷ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশুদ্ধতাও নষ্ট করতে পারে।
আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলির এই ধরনের ‘বিনামূল্যে উপহার’ দেওয়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি পিআইএল দায়ের করেন৷ জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছিল যে রাজনৈতিক দলগুলির এই ধরনের সিদ্ধান্ত সংবিধানের ১৪, ১৬২, ২৬৬(৩) এবং ২৮২ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে৷ ২৫ জানুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলিকে পাবলিক তহবিল থেকে বিনামূল্যে বিতরণ বন্ধ করার জন্য নির্দেশিকা তৈরি করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা চেয়ে এসসি একটি নোটিশ জারি করেছে।
২৫ জানুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলিকে পাবলিক তহবিল থেকে বিনামূল্যে বিতরণ বন্ধ করার জন্য নির্দেশিকা তৈরি করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট একটি নোটিশ জারি করে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে যে নির্বাচনের আগে বা পরে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া একটি রাজনৈতিক দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত৷ নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রীয় নীতি এবং সিদ্ধান্তগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না৷
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সরকার পিআইএলকে সমর্থন করেছে। এ ধরনের প্রতিশ্রুতি ভোটারদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। শীর্ষ আদালত নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলির দেওয়া প্রতিশ্রুতি এবং সহায়তার সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থা গঠনের পরামর্শও দিয়েছে।