
#বেজিং: তাইওয়ানের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নির্মিত নতুন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র, এ খবর বছরের শুরুতেই জানা গিয়েছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, চিনা আগ্রাসনের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিপরীতে তাইওয়ানের বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করতে চায় ওয়াশিংটন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন কর্মকর্তারা রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, লকহিড মার্টিন নির্মিত এবং নতুন ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত এফ-১৬ এর সরবরাহের গতি বাড়ানো হবে।
বিমানটি ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু তা এগিয়ে আনার চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের কাছে দ্রুত যুদ্ধবিমান সরবরাহের তাগিদ দিয়েছে। তাইওয়ানের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, বিমানবাহিনী ক্রমবর্ধমান চিনা হুমকি ও সামরিক বিমান বাধা দিতে হিমসিম খাচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, নিরাপত্তার জন্যই মূলত বিমানটি দরকার। এফ-১৬ একটি অত্যন্ত কৌশলী বিমান হিসাবে বিবেচিত, যা এয়ার-টু-এয়ার কমব্যাট এবং এয়ার-টু-সার্ফেস আক্রমণে প্রমাণিত। ২০১৯ সালে অনুমোদিত ৮ বিলিয়ন ডলার চুক্তির অধীনে ৬৬টি নতুন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গ্রহণ করে তাইওয়ান। বর্তমানে এশিয়ার মধ্যে তাদের কাছেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে।
#Taiwan has put in a request to buy 66 #F16 V jets with a price tag of US$13 billion, according to media reports. https://t.co/1U1RtkEJcw pic.twitter.com/K1cNugEv7H
— Taiwan News (@TaiwanNews886) March 6, 2019
২০২৬ সালের মধ্যে নতুন-পুরোনো মিলে এর সংখ্যা দাঁড়াবে ২০০-এর বেশি। লকহিড মার্টিনের মতে, ব্লক ৭০ বিমান হল নতুন এফ-১৬ কনফিগারেশন, যাতে রয়েছে নতুন এভিওনিক্স, একটি আধুনিক ককপিট এবং একটি উন্নত ইঞ্জিন। পেন্টাগনের সাবেক সিনিয়র আধিকারিক আব্রাহাম ডেনমার্কের মতে, বিমান সরবরাহ ত্বরান্বিত করা মূলত বেজিংয়ের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ।
ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলসন সেন্টার থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের একজন বিশ্লেষক ডেনমার্ক। তিনি বলছেন, এটি তাইওয়ানের আত্মরক্ষার ক্ষমতাকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন সংকল্পের আরেকটি স্পষ্ট সংকেত। চিনের কাছে জে ২০ পঞ্চম জেনারেশন যুদ্ধবিমান আছে। কিন্তু সেগুলি যুদ্ধের ময়দানে পরিচিত নয়।
কারণ সেই ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে ১৯৭৯ যুদ্ধের পর থেকে চিন সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি কখনও। অন্যদিকে এফ-১৬ ভাইপার ইরাক থেকে আফগানিস্তান, সোমালিয়া এবং অন্যান্য দেশে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছে। গতিতে এবং নির্ভুল নিশানায় আঘাত করার ব্যাপারে এর জুড়ি মেলা ভার।
তাইওয়ানের ভূখণ্ড রক্ষা করার জন্য চিনের বিরুদ্ধে এটাই প্রধান অস্ত্র। চিন ভাল করে জানে একবার এফ-১৬ ময়দানে নামলে পাত্তা পাবে না চিনা ফাইটার।
