রহস্যময় সিঙ্কহোল দেখা গিয়েছে চিলিতে, পৃথিবীতে মন্থনের কারণেই কি এর উৎপত্তি

রহস্যময় সিঙ্কহোল দেখা গিয়েছে চিলিতে, পৃথিবীতে মন্থনের কারণেই কি এর উৎপত্তি

তামার খনির শহরে তৈরি হয়েছে সিঙ্কহোল!

টাইরা আমারিলা খনির শহরটিতে তৈরি হয়েছে সিঙ্কহোলটি। তারপর তা ক্রমশ বেড়ে উঠেছে। এটি কীভাবে গজিয়ে উঠল, তারপর এর বাড়বৃদ্ধি কীভাবে হল, তা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। গবেষকরা এখন তৎপর এই সিঙ্কহোল গঠনের কারণ জানতে। চিলির সরকারও তদন্ত শুরু করেছে।

সিঙ্কহোলটিকে নিরাপত্তার মোড়কে ঘিরে ফেলা হয়েছে

সিঙ্কহোলটিকে নিরাপত্তার মোড়কে ঘিরে ফেলা হয়েছে

ন্যাশনাল জিওলজি অ্যান্ড মাইনিং সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই সিঙ্কহোল উপর থেকে নীচ পর্যন্ত প্রায় ৬৫৬ ফুট। চওড়া ৮২ ফুট। কানাডিয়ান ফার্ম লুন্ডিং মাইনিং দ্বারা পরিচালিত আলকপারোসা খনির কাছে টিয়েররা আমারিলা এলাকায় সিঙ্কহোলটিকে নিরাপত্তার মোড়কে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সিঙ্কখোলের চারপাশে একটা ১০০ মিটার নিরাপত্তার বেড়াজাল তৈরি করা হয়েছে।

সিঙ্কহোলটি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে স্থিতিশীল

সিঙ্কহোলটি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে স্থিতিশীল

ন্যাশনাল জিওলজি অ্যান্ড মাইনিং সার্ভিসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিঙ্কহোলটি শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই কাজ চলছে তৎপরতার সঙ্গে। সংস্থাটি কর্মীদের নিযুক্ত করেছে, সরঞ্জাম নিয়ে পরিকাঠামো তৈরি করে এই কাজ করে চলেছে। সিঙ্কহোলটি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ওই জায়গাতেই স্থিতিশীল রয়েছে।

তামার ভূগর্ভস্ত খনি এলাকায় সিঙ্কহোল

তামার ভূগর্ভস্ত খনি এলাকায় সিঙ্কহোল

সিঙ্কহোলটি সান্তিয়াগোর উত্তরে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বা প্রায় ৫০০ মাইল এলাকায় উপস্থিত ছিল। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আলকাপারোসা ভূগর্ভস্ত খনির একটি এলাকায় উন্নয়ন কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এটি উল্লেখ্য যে, চিলি বিশ্বের বৃহত্তম তামা উৎপাদনকারী দেশ। বিশ্বব্যাপী তামা সরবরাহের এক চতুর্থাংশ আসে এই চিলি থেকে।

ভূতত্ত্ব ও খনির বিশারদরা আরও গবেষণায়

ভূতত্ত্ব ও খনির বিশারদরা আরও গবেষণায়

ন্যাশনাল জিওলজি অ্যান্ড মাইনিং সার্ভিসের পক্ষ থেকে ডিরেক্টর ডেভিড মন্টেনিগ্রো বলেন, নীচ থেকে প্রায় ২০০ মিটার বা ৬৫৬ ফুট উচ্চতা সিঙ্কহোলটির। আমরা সেখানও অন্য কোনও উপাদন খুঁজে পাইনি। তবে প্রচুর জল রয়েছে। ভূতত্ত্ব ও খনির বিশারদরা আরও গবেষণা চালাচ্ছে সিঙ্কহোলটি নিয়ে।

খনির কারণেই এই সিঙ্কহোলের উৎপত্তি, নাকি...

খনির কারণেই এই সিঙ্কহোলের উৎপত্তি, নাকি…

সিঙ্কহোলের নিকটতম বাড়িটি ৬০০ মিটার বা ১৯৬৯ ফুট দূরে। জনবহুল এলাকা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তা গজিয়ে উঠেছে। এর ফলে কর্তৃপক্ষের পক্ষ রহস্যময় কাঠামো তদন্তের কাজ সহজ করে তোলেন প্রায় ১৩ হাজার বাসিন্দা। টিয়েররা আমারিলা পৌরসভার মেয়র ক্রিশ্চিয়ান জুনিগা বলেন, এই ঘটনা নজিরবিহীন। আমরা কারণটি স্পষ্ট করতে বলেছি। খনির কারণেই এই সিঙ্কহোলের উৎপত্তি কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।