Flu Preventing Measures: সামনেই পুজো, কীভাবে রেহাই পাবেন বিভিন্নরকম ফ্লুর হাত থেকে?

Flu Preventing Measures: সামনেই পুজো, কীভাবে রেহাই পাবেন বিভিন্নরকম ফ্লুর হাত থেকে?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলকাতা কাবু জ্বর-যন্ত্রণায়। কোভিডভীতির পাশাপাশি রয়েছে নানা রকম ফ্লুর প্রকোপ। ভাইরাল ফিভার, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ম্য়ালেরিয়া, ডেঙ্গি। সামনেই পুজো। তার আগেই ঘরে ঘরে জ্বর-জ্বালার এই সমস্যা। ফলে সব মহলই খুব উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছে। পুজোর আগে ভালো থাকব তো? কী কী মেনে চলতে হবে? এ জাতীয় নানা প্রশ্ন ভিড় করছে সাধারণ মানুষের মনে। জি ২৪ ঘণ্টায় আয়োজিত সকালের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ব্রেকফাস্ট অতিথি’তে এসেছিলেন দুই চিকিৎসক। তাঁরা এ সংক্রান্ত নানা জরুরি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে অনেকটাই আশ্বস্ত করলেন দর্শক-শ্রোতাদের। রাজ্যের পরিস্থিতি খুব ভালো নয়। আজ নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও ডাকা হয়েছে শহরের ক্রমবর্ধমান জ্বরের প্রকোপ থেকে কীভাবে রেহাই মিলবে তা নিয়ে আলোচনার জন্য। থাকছেন সমস্ত জেলাশাসক ও উচ্চ আধিকারিকগণ। ইতিমধ্যে কালীঘাটের বছরবারোর এক বালক ডেঙ্গিতে ভুগে মারা গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ সব মহলেই। এরই মধ্যে মানুষ সব চেয়ে আগে ভাবছেন জ্বর হলে কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়?

জি ২৪ ঘণ্টার ‘ব্রেকফাস্ট অতিথি’তে এসেছিলেন দুই চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু এবং দেবকিশোর গুপ্ত। তাঁরা দুজনেই বিষয়টি নিয়ে জরুরি নানা কথা বললেন। সপ্তর্ষি বসু বললেন, এখন কোভিড পিকে রিচ করে যাওয়ার পরে ফ্লু চলছে। নানা রকম জ্বর। এবং সব জ্বরের লক্ষণই মোটামুটি এক। তাই জ্বরের হিস্ট্রিটা খুব জরুরি। সেটা বিশ্লেষণ করে তবে চিকিৎসা শুরু করা যাবে। অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। নিজে নিজে চিকিৎসা করাটা একেবারেই উচিত নয়। ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার অভ্যেসও বদলে ফেলতে হবে। ড. বসু এর পাশাপাশি মাস্ক পরার উপরও জোর দিতে বলছেন। যিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁর এক্সপোজারটা আগে বন্ধ করতে হবে। তাহলেই রোগের ছড়িয়ে পড়াটাকে অনেকটা আটকানো যাবে। ফলে মাস্কটা জরুরি।

ড. দেবকিশোর গুপ্ত বলছেন, ভাইরাল ইনফেকশনের চিকিৎসা একরকম, আবার ম্য়ালেরিয়ার আর একরকম। কোথাও রোগীর শরীরে জলসরবরাহ স্বাভাবিক রাখা জরুরি, কোথাও আবার রেসপিরেটরি প্রবলেম দেখা দিলে সেটার চিকিৎসক জরুরি। অসুখটাকে আগে চিনতে হবে। আবার ডেঙ্গিও অনেকরকম। ফলে বাড়িতে কারও জ্বর হলে সবার আগে ‘ওয়ার্নিং সিম্পটমস’টাকে চিনতে হবে। জ্বরের ধরন বুঝে সংশ্লিষ্ট রোগীকে আইসোলেশনে রাখতে হবে কিনা সেটা ঠিক করতে হবে। ড. গুপ্তও মাস্ক পরার উপর জোর দিলেন। ড্রপলেট ইনফেকশন আটকাতে মাস্কের কোনও বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ড. সপ্তর্ষি বসু এবং ড. দেবকিশোর গুপ্ত উভয়েই জানাচ্ছেন, সময়টা যেহেতু নানা রকম জ্বরের সংক্রমণের সিজন চলছে, ফলে জ্বর হলে কো-ইনফেকশনের বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে এবং সারাক্ষণ সার্ভিলেন্স রাখতে হবে। জ্বর বুঝে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। গুগল ঘেঁটে সেল্ফ-মেডিকেশনের সমালোচনা করছেন দুজনেই। দুজনেই বলছেন, মানুষ যেমন কোভিডের টিকা নিয়েছেন, সেইরকম ভাবেই তাঁদের ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোকক্কাল ভ্য়াকসিন নেওয়া দরকার। কেননা, এখন যে শুধু বর্ষাকালেই সিজনাল ফিভার হচ্ছে, এমনটা নয়, জ্বর-জ্বালা প্রায় সারা বছরই লেগে আছে। ফলে, সব দিক থেকেই সচেতনতা জরুরি।

সমস্ত আলোচনার পাশাপাশি দুই চিকিৎসকই যে সাধারণ পরামর্শগুলি দিচ্ছেন, সেগুলি এরকম: 

শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে প্যারাসিটামল খেতে হবে

কাশি হলে কাশির সিরাপ খেতে হবে

জ্বর হলে বেশি করে জল খেতে হবে

উচ্চপ্রোটিন-যুক্ত খাবার খেতে হবে

প্রয়োজনে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ট্যাবলেট খেতে হবে

তাঁরা উভয়েই বলছেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। একটু সাবধানে থাকতে পারলেই এই সব ফ্লু জাতীয় অসুখ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর সেরকম ভাবে থাকতে পারলে পুজোর সময়ে কোনও সঙ্কটই দেখা দেবে না!

(Source: zeenews.com)