শহরে বৃষ্টির খরা, ৩ দিনের মনসুন ট্যুরে ঘুরে আসুন কেওনঝড়

শহরে বৃষ্টির খরা, ৩ দিনের মনসুন ট্যুরে ঘুরে আসুন কেওনঝড়

৩ দিনের ছুটিতে কেওনঝড়

ওড়িশা মানেই বাঙালির প্রিয় পুরী। সমুদ্রের পাড়ে বসে থাকা আর জগন্নাথ দর্শন করা। কিছু হলেই এক ছুটে পুরী চলে যান সকলে। কিন্তু কেউ কি জানেন পুরী ছাড়াও ওড়িশায় রয়েছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। বিশেষ করে বর্ষার সময় সেগুলি আরো মনোরম হয়ে ওঠে। এরকমই একটা জায়গা কেওনঝড়। নাম হয়তো অনেকেই জানেন কিন্তু কখনো বেড়ানোর কথা ভাবেননি। কেওনঝড়ের রয়েছে পাহাড়, জঙ্গল আর ঝরনার সহাবস্থান। হোটেলের জানলার বাইরে হাতছানি দেবে সবুজ পাহাড়।

কীভাবে যাবেন

কীভাবে যাবেন

ওড়িশার কেওনঝড় যেতে হল ট্রেনপথই সবচেয়ে ভাল। হাওড়া স্টেশন থেকে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ধরলে সহজ হয় কেওনঝড় যাওয়া। ভাড়া খুব বেশি নয়। বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ছাড়ে হাওড়া স্টেশনের সাউথ সেকশন থেকে। চেয়ারকারের ভাড়া জন প্রতি ১৮০ টাকা। ২ জনের জন্য ৬০০ মত খরচ হবে। ঝাড়গ্রাম স্টেশন পেরিয়ে ট্রেন ছুটে যাবে ওড়িশার কাছে। টাটানগর পেরিয়ে বারবিল স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে কেওনঝড়ের দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। তাই আগে থেকে গাড়ি বলে রাখাই ভাল।

কোথায় থাকবেন

কোথায় থাকবেন

বিকেলের মধ্যেই চলে আসা যায় কেওনঝড়ে। সেখানে থাকার জায়গা অসংখ্য। সবচেয়ে ভাল হয় ওড়িশা ট্যুরিজিমের পান্থনিবাসে থাকলে। সেখানে আগে থেকে বুকিং করে রাখতে হয়। অনলাইনে বুকিং করা যায়। অসম্ভব সুন্দর জয়গায় এই পান্থ নিবাসটি। চারিদিকে সবুজ পাহাড়। সস্তায় থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত। ৩০০০ টাকায় ২ দিন থাকতে পারবেন ২ জন। ডিলাক্স রুম রয়েছে এখানে। বিকেলে অটো নিয়ে কেওনঝড়ের শহর-রাস্তাঘাট দেখে আসা যায়। হোটেলের বারান্দা থেকেই দেখা যায় জগন্নাথের মন্দির।

কী কী দেখার জায়গা

কী কী দেখার জায়গা

সবুজ পাহাড়ে ঘেরা কেওনঝড়ে দিনভরই চলে রোদ বৃষ্টির খেলা। বর্ষায় আরো সবুজ হয়ে যায় পাহাড়গুলি। সকাল সকাল হোটেলে ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়ুন গাড়ি নিয়ে। রয়েছে খান্দাধার ঝরনা। পাহাড়ের বুক চিড়ে বেরিয়ে গিয়েছে রাস্তা। পাহাড়ের সিঁড়ি বেয়ে যেতে হবে ঝরনার কাছে। বর্ষার সেই ঝরনা আরো সুন্দর হয়ে যায়। পাহাড়ে ট্রেকের মত রাস্তাটি।