কালো প্রিজন ভ্যান ঢুকে গেল জেল-এর অন্দরে, অর্পিতাকে দেখতে তখন তখন উপচে পড়া ভিড়

কালো প্রিজন ভ্যান ঢুকে গেল জেল-এর অন্দরে, অর্পিতাকে দেখতে তখন তখন উপচে পড়া ভিড়

#কলকাতা: প্রিজন ভ্যান-এ তোলা হল অর্পিতাকে। পার্থর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার, অর্পিতা যাচ্ছেন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে। শেষরক্ষা হল না! শুক্রবার মিলল না জামিন। পার্থ-অর্পিতার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। ১৮ অগস্ট ফের আদালতে পেশ করা হবে দু’জনকে।

তাঁর আসার খবরের অনেক আগে থেকেই পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয় আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার। স্থানীয় উৎসুক মহিলাদের উঁকিঝুঁকি। সামনে থেকে একবার দেখার অদম্য ইচ্ছা। তিনি এলেন… কিন্তু দেখা পেলেন না… ‘হতাশ’ মুনমুন, জলি, ছন্দারা।

কড়া পুলিশি প্রহরায় তিনি এলেন। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। দড়ির ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা আলিপুর সংশোধনাগার চত্বর। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় দুজনেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশের পর পরই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংশোধনাগার চত্বরে। খবর চাউর হতেই সংশোধনাগার চত্বরে সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি ভিড় জমান কয়েকজন মহিলাও। আদালত থেকে কালো প্রিজন ভ্যানে করে আলিপুর সংশোধনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, ‘অপা’ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। কিন্তু পুলিশি ব্যবস্থা এতটাই কঠোর ছিল যে, অর্পিতাকে কাছ থেকে দেখার আর সুযোগ হলো না উৎসুক জনতার।

ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধে সাড়ে ছটা। অর্পিতাকে নিয়ে প্রিজন ভ্যান সংশোধনাগারের গেটের কাছে আসতেই মহিলা সংশোধনাগারের গেট সম্পূর্ণ খুলে দেওয়ার পরপরই গাড়ি ভেতরে ঢুকতেই বন্ধ হল গেট। প্রিজন ভ্যানে অর্পিতাকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখে কার্যত ‘লুকিয়ে’ পুলিশ আলিপুর মহিলা সংশোধনাগরের ভেতরে নিয়ে প্রবেশ করল। বাইরে তখন থিক থিক করছে পুলিশ। ‘অর্পিতাকে কাছ থেকে একবার দেখব বলে অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম। তা আর হল না’, বললেন মুনমুন রায়।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার পার্থের জামিনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন আইনজীবী! পার্থর জামিনের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার আদালতে তাঁর আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল কখনও এক পয়সাও ঘুষ নেননি, ঘুষ নেওয়ার কোনও প্রমাণও মেলেনি। পাশাপাশি এও বলেন, বেহালা পশ্চিম থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী তৃণমূল নেতা তাঁর বিধায়ক পদটি থেকেও ইস্তফা দেওয়ার কথা ভাবছেন!

Published by:Aryama Das

(Source: news18.com)