অর্থনৈতিক সংকট বাংলাদেশ: রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশের রাস্তাঘাট, কিন্তু শত শত মানুষ ক্ষোভে ঘর থেকে বের হয়ে এসেছে, কি হচ্ছে প্রতিবেশী দেশে?

অর্থনৈতিক সংকট বাংলাদেশ: রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশের রাস্তাঘাট, কিন্তু শত শত মানুষ ক্ষোভে ঘর থেকে বের হয়ে এসেছে, কি হচ্ছে প্রতিবেশী দেশে?
ছবি সূত্র: TWITTER
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট

হাইলাইট

  • অনেক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষ হয়েছে।
  • দেশে দ্রুত আমদানি বেড়েছে এবং রপ্তানি কমেছে
  • আইএমএফ থেকে ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট: শ্রীলঙ্কার পর এবার বাংলাদেশেও কড়া নাড়ছে অর্থনৈতিক মন্দা। বর্তমানে দেশে মূল্যস্ফীতি চরমে। নিত্যদিনের জিনিসপত্রের দাম হাতের বাইরে চলে গেছে। এখানকার অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বলে রাখি, ঘরে বসে থাকা লোকজন রাস্তায় নেমে এসেছে। মূল্যস্ফীতিতে অতিষ্ঠ মানুষ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু করেছে। গভীর রাতে সরকার পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি করায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষ হয়েছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। এখন এই জনসংখ্যা অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। মূল্যস্ফীতি জনগণের পকেটের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। দেশটিতে ডলারের অবক্ষয় এবং তেল আমদানির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি প্রতিবেদন জারি করেছিল, যাতে বলা হয়েছিল যে দেশে দ্রুত আমদানি বেড়েছে এবং রপ্তানি কমেছে। অর্থাৎ, সহজ ভাষায় বোঝা গেলে, বাংলাদেশ তার পণ্য কম বিক্রি করে এবং বাইরে থেকে পণ্য ক্রয় করতে থাকে, যার কারণে কোষাগারে অনেক প্রভাব পড়ে।

আইএমএফ থেকে ঋণ চাওয়া হয়েছে

বর্তমানে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা আমদানির ৫ মাস বাকি রয়েছে। বিশ্বে পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে অচিরেই বাংলাদেশের কোষাগার খালি হয়ে যাবে। অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বাংলাদেশ সরকারকে তাড়া করছে। যার কারণে আইএমএফের কাছে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে ঋণ নিচ্ছে এটাই প্রথম না হলেও এবার ঋণের পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় আলোচনা হচ্ছে। কয়েক বছর আগে আইএমএফ জানিয়েছিল, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে ভারতকে পিছিয়ে দিতে চলেছে বাংলাদেশ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। ক্রয় কমিটির বৈঠকে অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা বলেছি টাকা চাইব, কিন্তু কত টাকা লাগবে তা বলিনি। কী শর্তে টাকা দেবে, সেটাও দেখব। .

এই সব দেশই আইএমএফের কাছে ঋণ চাইছে

শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়া দেশের কাতারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এর আগে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল। আগামী বছর পাকিস্তানকে ৪ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। একই $1.05 বিলিয়ন ঘানা এবং তানজানিয়া প্রদান করা হবে. একই বাংলাদেশ সেপ্টেম্বরে ঋণ নিতে আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক করবে।

(Source: indiatv.in)