তন্ময় চট্টোপাধ্যায়
ঝাড়খণ্ডের তিনজন কংগ্রেস বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছিলেন হাওড়ার পিংলা থেকে। গত ৩১ জুলাইয়ের ঘটনা। তাঁদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪৯ লাখ টাকা। এদিকে এক ব্যবসায়ী তাঁদের এই টাকার যোগান দিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলতে রবিবার গুয়াহাটিতে গিয়েছিল সিআইডির টিম। কিন্তু সিআইডির দাবি সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
সিআইডি সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অশোক ধানুকার বাড়িতে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর দরজা বন্ধ। বাড়ির লোকজন দরজা খুলতে চাননি। বাইরে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে অসম পুলিশ ছিল।তাকে সোমবার সকাল ১০টা কলকাতায় সিআইডির দফতরে আসতে বলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এনিয়ে তৃতীয়বার এই ঘটনায় বাধার মুখে পড়লেন সিআইডির আধিকারিকরা। এর আগে এই মামলায় ৩ অগস্ট দিল্লির চাণক্যপুরীতে সিদ্ধার্থ মজুমদার নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যাচ্ছিল সিআইডি। সেই সময় অ্যাডিশনার অফিসার ইন চার্জ সিআইডি অরিজিৎ ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, স্থানীয় পুলিশ টেকনিকাল কারণ দেখিয়ে মজুমদারের বাড়ি তল্লাশি করতে দেয়নি।
ওই দিনই গুয়াহাটিতে বিমানবন্দরের সিসি ফুটেজ নিতে গিয়েছিল সিআইডির টিম। কিন্তু সেখানেও অসম পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে, ২৯ জুলাই অসমে গিয়েছিলেন বিধায়করা। ৩০ জুলাই সেখান থেকে তাঁরা বেরিয়ে গিয়েছিলেন। অসমের সরকারি গাড়িও ওই বিধায়কদের জন্য পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।
এদিকে কলকাতার ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়াল ওই বিধায়কদের কাছে একটি টাকার ব্যাগ পৌঁছে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে আগরওয়াল তদন্তকারীদের কাছে জানিয়েছিলেন যে ,গুয়াহাটি থেকে একটি ফোন পেয়ে তিনি ব্যাগটি পৌঁছে দেন। ভেতরে কী আছে তা জানতেন না।