আওয়ামীলীগ নেতার বাসায় গুলি

আওয়ামীলীগ নেতার বাসায় গুলি

সান নিউজ ডেস্ক : গভীর রাতে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালুর বাড়িতে গুলি চালানো হয়েছে। শনিবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানার রাণীবাজার মুন্সিডাঙ্গা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

পরে এই কাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে দুটি শর্টগান, একটি পিস্তল, তিনটি ম্যাগজিন ও শতাধিক রাউন্ড গুলি। পুলিশ অস্ত্রধারীদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা-মেট্টো-খ-১১-৮৩৮৫) জব্দ করেছে।

গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে দুইজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন নগরীর উপশহরের বাসিন্দা ওয়াহিদ জামিল মুরাদ লিঙ্কন (৪৬), তার গাড়িচালক সজল আলি (৩৮)।

জানা গেছে, ওয়াহিদ জামিল মুরাদ লিঙ্কনের বাড়ি নগরীর উপকণ্ঠ নওহাটায়। তবে উপশহরের একটি ভবনে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। লিঙ্কন ডেভেলপার হিসেবে নগরীর বাটার মোড়ে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। অনেকেরই সন্দেহ, ভবন নির্মাণ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কালুর সঙ্গে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে ঘটিয়েছেন লিঙ্কন।

এ নিয়ে আজ রোববার দুপুরে বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন আতিকুর রহমান কালু। তাদেরকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালু জানান, ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে তিনি বসবাস করেন। অন্যান্য দিনের মতো রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সোয়া ১টার দিকে বাসার প্রধান ফটকে চিৎকার-চেঁচামেচি ও গালাগালি শুনে ঘুম ভাঙে তার। তিনতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে গেটম্যান আমজাদের কাছে ঘটনা জানতে চান।

ওই সময় একদল অস্ত্রধারী লোক তাকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি ছুড়েন। তবে তিনি দ্রুত মাথা নিচু করায় গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বারান্দার গ্রিলে লাগে। একটি প্রাইভেটকার নিয়ে আসা অস্ত্রধারীরা পরে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। প্রাইভেটকারটির পথ অনুসরণ করে পুলিশ রাত ২টার দিকে নগরীর উপশহর এলাকার জামিল মুরাদ লিঙ্কনের বাসায় পৌঁছায়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অস্ত্রধারী তিনজনকে। উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং তাদের ব্যবহৃত গাড়িটি।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার লিঙ্কন নিজেকে একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালক পরিচয় দিয়েছেন।

কেন তারা গভীর রাতে আওয়ামী লীগ নেতা কালুর বাড়িতে তাকে হত্যা করতে গিয়েছিলেন সেই তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।

সান নিউজ/এসআই