ইসরোর ফের মহাকাশে পাড়ি! ভারতের সবচেয়ে ছোট উপগ্রহ আজাদি-স্যাটের সফল উৎক্ষেপণ এবং বিপত্তি

ইসরোর ফের মহাকাশে পাড়ি! ভারতের সবচেয়ে ছোট উপগ্রহ আজাদি-স্যাটের সফল উৎক্ষেপণ

Science And Technology

oi-Sanjay Ghoshal

সবথেকে ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ইসরোর মুকুটে যুক্ত হল আরও একটি পালক। বিশ্বের বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে ইসরো ৭ অগাস্ট রবিবার সবথেকে ছোট মহাকাশ যান এসএসএলভিকে আজাদি-স্যাটের সঙ্গে উৎক্ষপেণ করল মহাকাশের উদ্দেশে। আজাদি-স্যাট আর্থ অবজার্ভেশন স্যাটেলাইট বহন করে নিয়ে গেল এই মহাকাশ মিশনে।

ইসরোর ফের মহাকাশে পাড়ি! সবচেয়ে ছোট উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা শ্রহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে তার নতুন উন্নত ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল। এই উৎক্ষেপণের মূল লক্ষ্য ছিল মহাকাশে ছোট উপগ্রহ পাঠানোর ক্ষেত্রে ইসরোর সক্ষমতা প্রদর্শন। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো এই এসএসএলভি-র ফ্লাইটে দুটি উপগ্রহ চালু করেছে। একটি আর্থ অবজার্ভেশন স্যাটেলাইট এবং আজাদি-স্যাট।

ইসরোর ওই অপটিক্যাল রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট ভূ-পরিবেশগত অধ্যয়ন, বনবিদ্যা, জলবিদ্যা, কৃষি, মাটি এবং উপকূলীয় গবেষণা ক্ষেত্রে তাপীয় অসঙ্গতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করবে। তার সঙ্গে আজাটি-স্যাট ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ছয় মাসের মিশন লাইফ চালু করেছে। ভারতের ৭৫০ জন ছাত্রীদের সহায়তার তৈরি হয়েছে এই আজাদি-স্যাট। মহিলাদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ ইসরোর। আট কিলোগ্রামের কিউবস্যাট ৭৫টি ভিন্ন পেলোড বহন করবে, যার প্রতিটির ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম।

এই এসএসএলভি আগের থেকে দ্রুত স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে পারে। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই তৈরি হয়েছে এই নয়া প্রযুক্তির মহাকাশযান। এসএসএলভি মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লঞ্চ প্যাডে স্থানান্তর করা যায়। পিএসএলভি প্রস্তত করতে দু-মাস সময় লাগত। এই মহাকাশ মিশনে এই ছোট উপগ্রহে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি নির্ভর উপগ্রহ এবার পাঠানো হল মহাকাশে।

মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি অনেক সময় ছোট স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ লঞ্চ করে। তেমনই ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ডিজাইন করেছে নতুন প্রযুক্তির ছোট স্যাটেলাইট। বাণিজ্যিক বাজারকে মাথা রেখেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই স্যাটেলাইট দেশি ও বিদেশি গ্রাহকদের জন্য লঞ্চ অন ডিমান্ড পরিষেবা প্রদান করবে।

এসএসএলভি বড় মিশনের উদ্দেশে ইসরোর ওয়ার্কহর্স পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল উৎক্ষেপণ করল মহাকাশে। প্রথম মিশনের জন্য ইসরোর তৈরি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও লো আর্থ অরবিটে বা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ছোটো পেলোড সরবরাহ করার ক্ষমতা রাখে। এই এসএসএলভি বর্তমান ইসরো প্রধান এস সোমনাথের মস্তিষ্কপ্রসূত।

ইসরোর ফের মহাকাশে পাড়ি! ভারতের সবচেয়ে ছোট উপগ্রহ আজাদি-স্যাটের সফল উৎক্ষেপণ

উৎক্ষেপণের পরেই বিপত্তি, শেষ ধাপে পৌঁছেই ডেটা লস ক্ষুদ্রতম রকেটে

উৎক্ষেপনের পরেই বিপত্তি। শেষ পর্যায়ে গিয়েই পৌঁছেই ডেটা লস ইসরোর ক্ষুদ্রতম রকেটের। দুটি উপগ্রহ রয়েছে রকেটটিতে। এইমুহুর্তে বিজ্ঞানীরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ক্ষুদ্রতম রকেট মহাকাশে পাঠিয়ে রেকর্ড গড়েছে ইযতক্ষণ না সেই সংকট মিটছে ততক্ষণ এই মিশন সফল বলা যাচ্ছে না। এদিকে আজ সকাল থেকেই এই নিয়ে উৎসাহের শেষ ছিল না গোটা দেশে। দেশের প্রথম ক্ষুদ্রতম রকেট সাফল্যের সঙ্গে উৎক্ষেপন করেছিল ইসরো। কিন্তু উৎক্ষেপনের শেষ পর্যায়ে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য হারিয়ে যাওয়ায় বিপদের আভাস পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। শনিবার মধ্য রাত থেকে শুরু হয়েছিল কাউন্টডাউন। রাত ২টো থেকে ধাপে ধাপে শুরু হয় উৎক্ষেপন প্রক্রিয়া। দেশের এই ক্ষুদ্রতম স্যাটালাইট লঞ্চারে রয়েছে একটি স্টুডেন্ট স্যাটেলাইট ও একটি আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট। স্টুডেন্ট স্যাটেলাইটটি স্কুল পড়ুয়াদের তৈরি। স্পেস কিডজ় ইন্ডিয়া নামে একটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উদ্যোগে ৭৫০ স্কুল পড়ুয়ারা মিলে এই স্টুডেন্ট স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছে। আজাদিস্যাট নাম দেওয়া হয়েছে উপগ্রহটির। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এটি তৈরি করা হয়। রকেটটি উৎক্ষেপনের সময় সেই সব স্কুলপড়ুয়ারা উপস্থিত ছিলেন ইসরোতে। শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপন কেন্দ্র থেকে এই রকেটটি উৎক্ষেপন করা হয়। ইসরোর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন শেষ মুহুর্তে বেশ কিছু তথ্য হারিয়ে যাওয়ায় চাপ রয়েছে। কাজেই এই উৎক্ষেপনকে এখনই সফল বলতে নারাজ তিনি। কাজেই এই উৎক্ষেপনকে এখনই সফল বলতে নারাজ তিনি। এর আগে চন্দ্রযান বিফলে গিয়েছে ইসরোর। সফল উৎক্ষেপনের পরেও ঠিক চাঁদের দক্ষিণ পিঠে অবতরণের শেষ মুহুর্তে কক্ষপথ থেকে ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছিল চন্দ্রযান। তারপরে আর তার হদিশ মেলেনি। এখনও মহাকাশে ঘোরাফেরা করছে হয়তো। কিন্তু শেষ পর্যায়ের এই ব্যর্থতা সামলে উঠকে বেশ সময় লেগেছিল ইসরোর। ফের আরেকটি রকেট এই গলদ ধরা পড়ায় রীতিময় সংশয় তৈরি হয়েছে।

(Source: oneindia.com)