মোদি সরকারের নোটবন্দীকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল যখন কিছু বোকা ছাড়া কেউ এটি পছন্দ করেনি। প্রতি 2000 টাকার নোটে একটি ট্রান্সমিটার থাকার কথা ছিল।
নোটবন্দির সময় সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা সবারই মনে আছে। প্রতিটি ব্যাংকের সামনে দীর্ঘ লাইন। সেই কাতারে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় 100 জন মারা যান। তবে কেন্দ্রের শাসক দল বলেছে, ‘সিনেমার টিকিটের জন্য কাতারে কেউ মরে না!’ তখন মনে হয়েছিল এই অহেতুক দুর্ভোগ এড়ানো যেত। সরকারের উচিত একদিন বিনা দ্বিধায়, কালো টাকার ব্যবসায়ীদের সতর্ক না করে, বাজারে 2,000 টাকার নোট তুলে নেওয়া। ছয় মাস পর আবারও নীরবে ৫০০ টাকার নোট। বছর যেতে না যেতেই দেখা গেল নোট দুটিই চলে গেছে কালোবাজারিদের হাতে। তাহলেই তারা নিরাপদে বাতিল হতে পারে! সাধারণ মানুষের কোনো সমস্যা নেই।
মনে রাখবেন, মোদি সরকারের বিমুদ্রাকরণ প্রচার শুরু হয়েছিল যখন কিছু বোকা ছাড়া কেউ এটি পছন্দ করেনি। প্রতি 2000 টাকার নোটে একটি ট্রান্সমিটার থাকার কথা ছিল। কেউ নোট দেখতে দেবেন না! কোন বাড়িতে, কোন ঘরে ঠিক কত নোট রাখা হয়েছে তা জানতে পারবে পুলিশ। সেই সময়ের মূল লক্ষ্য ছিল কালো টাকা উদ্ধার করা। আর পাঁচটি উন্নত দেশের মতো আমাদেরও নোট-নির্ভরতা কমাতে হবে। ওয়েল, আমরা পরে শিখেছি. ধারণা খারাপ ছিল না. কালো টাকা ছাড়া রাজনীতি হয় না। পাঁচ বছরের মধ্যে বিপুল নির্বাচনী ব্যয় কোথা থেকে আসবে? নির্বাচনী আইন থেমে যাবে। তাই একজন নেতা বা মন্ত্রীর অত্যধিক নগদ অর্থসহ ধরা পড়ার ঘটনা বিরল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুখ রাম প্রথমেই তাঁর মনে আসে। তার বাড়ি থেকে কলা নয়, কয়েক কোটি টাকা পাওয়া গেছে। কর্মকর্তারা আলাদা। বিশেষ করে আইএএস অফিসাররা। তাদের নির্বাচনী সমস্যা নেই। মিনিকার্ডিও ভালো। এটা গর্বের বিষয় যে মাত্র কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি সুখরামের মতো একজন আইএএস অফিসারের বাড়িতেও পাওয়া গেল প্রায় ৬০০ কোটি টাকার নগদ ও সম্পত্তি! তার স্ত্রীও অফিসার ছিলেন। এ টাকার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
পার্থ চ্যাটার্জির ঘটনায় অন্য মাত্রা যোগ করেছেন মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা। তার দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, টাকা তার নয়। তার এত টাকা থাকা উচিত নয়। তাই পার্থকে সন্দেহ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু সমস্যা কর্তৃপক্ষ বা বাংলার নয়। সারাদেশ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। নির্বাচনী জয়ের অনিশ্চয়তা ছেড়ে ‘রেডিমেড’ বিধায়ক কেনার প্রবণতা বাড়ছে। যাইহোক, সিবিআই এবং ইডি আমাদের দেশে অস্ত্র। আদালত নিজেই সিবিআইকে ‘চিদিয়ার খাঁচা’ নাম দিয়েছে। অনেক রাজ্যে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাই কেন্দ্রের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে ইডি। শারদা-নারদে শূন্য পায় সিবিআই। হাইকোর্টের মনিটরিং থাকলে তারা সঠিকভাবে তদন্ত করবে। তবে আদালতের আরও কাজ আছে। তারা কত মামলা মনিটর করবে?
(Source: prabhasakshi.com)