মা- ছেলে একসঙ্গে সরকারি চাকরি পেলেন! কেরলে সবার প্রশংসা কুড়োচ্ছেন বিন্দু

মা- ছেলে একসঙ্গে সরকারি চাকরি পেলেন! কেরলে সবার প্রশংসা কুড়োচ্ছেন বিন্দু

#তিরুঅনন্তপুরম: ছেলে যখন দশম শ্রেণির ছাত্র, তখন তাকে উৎসাহ দিতেই ছেলের বই পড়তে শুরু করেছিলেন মা৷ বই নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতেই কেরলের পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় বসার ভাবনা মনে আসে৷ ৯ বছর পর সেই মা আর ছেলেই একসঙ্গে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন৷ শুধু পরীক্ষায় বসাই নয়, মা এবং ছেলে একসঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিও পেয়েছেন৷

এনডিটিভি-তে প্রকাশতি খবর অনুযায়ী, কেরলের বাসিন্দা ৪২ বছর বয়সি ওই মহিলার নাম বিন্দু৷ তিন বার ব্যর্থ চেষ্টার পর চতুর্থ বার পরীক্ষা দিয়ে লাস্ট গ্রেড সার্ভেন্টস বা এলজিএস পরীক্ষায় ৯২ তম স্থান পেয়েছেন বিন্দু৷ তাঁর ২৪ বছর বয়সি ছেলে ৩৮ তম স্থান পেয়ে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক বা এলডিসি হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে চলেছেন৷

গত দশ বছর ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করছিলেন বিন্দু৷ কেরলের স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারে তাঁর সহপাঠী, বন্ধুরা প্রত্যেকেই চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন৷

বিন্দুর ছেলে জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে একসঙ্গে পড়াশোনা না করলেও পড়াশোনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন তাঁরা৷ বিন্দুর ছেলের কথায়, ‘আমার একা একা পড়াশোনা করতেই ভাল লাগে৷ আর তাছাড়া মা সবসময় পড়তও না৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়ানো এবং অন্যান্য কাজের ফাঁকে সময় পেলে মা পড়ত৷’

ছেলের এবং তিনি একসঙ্গে চাকরি পেয়ে গোটা রাজ্যেরই নজর কেড়ে নিয়েছেন বিন্দু৷ তার ধৈর্য এবং হাল না ছাড়া মনোভাবের প্রশংসা করছেন প্রত্যেকেই৷ বিন্দু নিজে বলছেন, ‘সরকারি চাকরির পরীক্ষার্থীদের কী করা উচিত আর কী উচিত নয়, তার আদর্শ উদাহরণ আমি৷ আমি একটানা পড়তাম না৷ পরীক্ষার ছ’ মাস আগে থেকে আমি প্রস্তুতি শুরু করতাম ৷ তার পর আবার লম্বা বিরতি নিতাম৷ সম্ভবত এই কারণেই আগের তিন বার আমি পরীক্ষা দিয়ে সফল হইনি৷ একই সঙ্গে হার না মানা মনোভাব থাকলে তার ফল যে পাওয়া যায়, আমি তারও প্রমাণ৷ ব্যর্থ হয়েও চেষ্টা চালিয়ে গেলে সাফল্য আসবেই৷ ‘

Published by:Debamoy Ghosh

(Source: news18.com)