চাইলেই কি বিদেশ থেকে যত খুশি সোনা আনা যায়? রইল এই নিয়মের খুঁটিনাটি

চাইলেই কি বিদেশ থেকে যত খুশি সোনা আনা যায়? রইল এই নিয়মের খুঁটিনাটি

সোনার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়

অন্য কোনও দেশ থেকে সোনা কিংবা অন্য কোনও পণ্য আনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু (indian custom rules for gold) নিয়ম হতে হয়। নিয়ম ভঙ্গ করে নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি পণ্য কিংবা সোনা আনলেই ঝামেলায় পড়তে পারেন। বেশির ভাগ লোকই ‘সিটি অফ গোল্ড’ অর্থাৎ দুবাই থেকে সোনা কেনে। আর তা ভারতে নিয়ে আসার সময় নানারকম সমস্যায় পড়ে যায়। এর কারণ হল সোনার উপর কোন ট্যাক্স নেই এবং তারা স্বর্ণ সস্তা পায়। তবে এর জন্য একটি সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কি বলছে Baggage Rules?

Baggage Rules, 2016 -এর অনুসারে, যে সমস্ত পুরুষ ভ্রমণকারীরা দুবাই বা অন্য কোনও দেশে কমপক্ষে এক বছর ধরে বসবাস করছেন তারা 20 গ্রাম পর্যন্ত সোনার গহনা আনতে পারেন। অন্যদিকে মহিলাদের জন্যে এই সীমা ৪০ গ্রাম রয়েছে। তবে এই মাত্রার বেশী সোনার বার কিংবা জুয়েলারি কেউ নিয়ে আসে তাহলে কর দেওয়া হতে পারে। এটা উল্লেখ করা উচিত যে এই নিয়মগুলি শুধুমাত্র গহনার জন্য। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এভাবে বেশি সোনা আনা যায়?

যদি আপনি নির্ধারিত সীমার বেশি সোনা আনতে চান তাহলে আপনাকে মোটা অঙ্কের কর দিতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী, এক কিলো পর্যন্ত সোনা বিদেশ থেকে আনার ক্ষেত্রে 12.5 শতাংশ অর দিতে হবে। যদি সোনা আনার পরিমাণ এক কিলোর থেকে অনেক বেশি হয় তাহলে 36.05 শতাংশ কর দিতে হয়। এর সঙ্গে, আপনাকে সোনা কেনার সমস্ত বিলও দেখাতে হবে। একাধিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলিও জানাতে হবে বলে জানা যাচ্ছে।

সোনা ছাড়া অন্যান্য জিনিসের জন্যও নিয়ম আছে।

শুধু সোনা নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও পণ্য আনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। ৫০ হাজার টাকা মুল্যের জিনিস খুব সহজেই আনা সম্ভব। কিন্তু এই পরিমাণ টাকার বেশি কিছু আনতে গেলেই বিমান বন্দরে নামা মাত্র একটা ফর্ম ভরতেহবে যাত্রীকে। এতে, আপনাকে এনকাউন্টার সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দিতে হবে। আর এরপরেই আনা পণ্যের উপর কর দিতে হবে। বিদেশে আপনি কতদিন রয়েছেন এর উপর ভিত্তি করে সেই কর তৈরি হয়। এমনকি আনা পণ্যের উপরেও কর নির্ধারিত করা হয়।