যেটা হওয়া উচিত, সেটা কি সব সময়ে হয়? হয় না বলেই পৃথিবীর সব প্রান্তেই বিবাহিতরা জড়িয়ে পড়েন অন্য সম্পর্কে, এই ব্যাপারে পুরুষ বা মহিলা কারও দিকেই আলাদা করে আঙুল তোলা সমীচীন নয়। চিনের হেনান প্রদেশের ওয়াং জাংসিও কারও দিকে কিন্তু আঙুল তোলেন না। তিনি শুধু বিবাহিত সম্পর্কের মাঝে যে তৃতীয় পক্ষটির আবির্ভাব ঘটেছে, তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এটাই তাঁর পেশা, এর জন্য তিনি রীতিমতো পারিশ্রমিকও নিয়ে থাকেন বলে জানা যায়।
বিস্তারিতে যাওয়ার আগে সবার প্রথমে এটা বলে নেওয়া জরুরি যে ওয়াং জাংসি কিন্তু এই ব্যাপারে সম্পর্কের তৃতীয় পক্ষে যে মহিলারা থাকেন, তাঁদেরই সাহায্যের পরিষেবা দিয়ে থাকেন। তার কারণও আছে। সাধারণত সবাই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে তৃতীয় জন মহিলা হলে তার দোষই দেখেন। কিন্তু সব সময় তাঁদের দোষ থাকে না। আর যদি থাকেও, তাহলে কথোপকথন বা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব- এমনটাই মনে করেন ওয়াং জাংসি।
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও যে সমস্যা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত, তার সমাধানে পেশাদার পরামর্শ প্রদান করা হয় একমাত্র চিনেই, ওয়াং জাংসির সৌজন্যে একথা বিশ্ব স্বীকার করে নিতে বাধ্য হবে। চিনের এক সংবাদপত্রের সঙ্গে এই বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে ওয়াং জাংসি জানিয়েছেন, শুধু এক বছর কাজ করেই তিনি এমন ৮০০ জন মহিলাকে সনাক্ত করতে পেরেছিলেন, যাঁদের বিবাহিত পুরুষের সম্পর্ক আছে। এমন ব্যাপক হারে কাজ করে চলার জন্য চিনে এখন তাঁর পরিচয়ই রটে গিয়েছে ‘মিস্ট্রেস কিলার’ বলে!
তবে ওয়াং জাংসি কেন এই পেশায় এলেন, বেছে বেছে কেন তিনি সম্পর্কের তৃতীয় পক্ষে থাকা নারীদের দিকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তার নেপথ্যে রয়েছে নিজের জীবনের করুণ অভিজ্ঞতা। ওয়াং জাংসি জানাতে দ্বিধা করেননি যে বাবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক কীভাবে তাঁদের পরিবারের ভিত ভেঙে দিয়েছিল! লুকিয়ে রাখেননি নিজের স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা। তাঁর ঘর যেভাবে ভেঙেছে, অন্যের সঙ্গে যাতে তা না হয়, সেই জন্যই তাঁর এই অভিনব পেশা বেছে নেওয়া!
আর যদি সেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ভিত যৌনতা না হয়ে ভালোবাসা হয়? সেক্ষেত্রে কোনও পারিশ্রমিক না নিয়ে শুধু পরামর্শ দিয়ে সরে আসেন, জানিয়েছেন ওয়াং জাংসি!