শৌচালয়ের জন্য বাস থেকে ঝাঁপ চালকের, চালকহীন বাসযাত্রীদের প্রাণরক্ষায় পুলিশ

শৌচালয়ের জন্য বাস থেকে ঝাঁপ চালকের, চালকহীন বাসযাত্রীদের প্রাণরক্ষায় পুলিশ

#গুইঝৌ: এরকম বাহাদুরি দেখানোর কথা কি কারও মন জয় করতে হলে আমরাও কল্পনা করে থাকি না?

তবে ওই- কল্পনা আর বাস্তবের সীমারেখা আদতে বড়ই সূক্ষ্ম, কখন যে গণ্ডি ডিঙিয়ে একের সঙ্গে অন্যে মিশে যাবে, বলা দায়! সেরকমটাই এবার ঘটে গেল চিনে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (South China Morning Post) যার সাক্ষী।

সম্প্রতি চিনের বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে এক হাড় হিম করা ভিডিও ফুটেজ। ঘটনার অকুস্থল দক্ষিণ-পূর্ব চিনের গুইঝৌ জেলার কোনও এক শহর। কোন শহর, তার নাম প্রকাশের দরকার মনে করেনি এই সংবাদমাধ্যম। শুধু জানিয়েছে যে এক পুলিশ অফিসারের অপরিসীম দক্ষতা আর প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে কীভাবে দুর্ঘটনার হাত থেকে একটুর জন্য রক্ষা পেল দক্ষিণ-পূর্ব চিন।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সেভাবে কিছু না বললেও যে সারভেইলেন্স ফুটেজটি পোস্ট করেছে নিজেদের ট্যুইটার (Twitter) হ্যান্ডেলে, তা দেখে বোঝা যাচ্ছে সাফ- ছোটখাটো কিছু নয়, বরং বেশ বড় মাপের দুর্ঘটনার হাত এড়ানো সম্ভব হয়েছে। কেন না, চালকবিহীন এক বাস যদি শহরের ব্যস্ত রাজপথে দিশেহারা হয়ে পড়ে, তবে তা আতঙ্কেরই কথা।

ভিডিও ফুটেজটিতে দেখা যাচ্ছে যে বাস যখন রাস্তার অন্য পারের দিকে চলে আসছে, যখন অন্য যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রায় দুর্ঘটনার উপক্রম, তখন এক সাহসী পুলিশ অফিসার দৌড়ে গিয়ে এক লাফ দিয়ে পড়েছেন বাসের ভিতরে, ব্রেক কষে থামিয়েছেন গাড়িটাকে। এটা ছাড়া আরও যে ভিডিও ফুটেজ মিলেছে ঘটনার, তা থেকে জানা গিয়েছে যে চেষ্টা করেও যখন বাসটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি চালক, তখন তিনি নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য এক লাফ দিয়ে পালিয়েছেন। আতঙ্কিত যাত্রীদেরও দেখা গিয়েছে বাস থেকে ঝাঁপ দিতে।

তবে এভাবে বাস বেসামাল হয়ে যাওয়ার নেপথ্য কারণ যান্ত্রিক ত্রুটি না কি চালকের গাফিলতি, সেই প্রশ্নের উত্তর রয়ে গিয়েছে অধরাই! প্রশ্ন উঠবেই- পুলিশ অফিসার যদি ব্রেক কষে দুর্ঘটনায় রাশ টানতে পারেন, তাহলে চালক কেন পারলেন না!

যা-ই হোক, ভিডিওটা দেখলে ভয় ধরে বইকি! জটায়ু থাকলে বোধহয় এরই নাম দিতেন- চায়নায় চাঞ্চল্য!

Published by:Teesta Barman

(Source: news18.com)