#কলকাতা: গল্ফগ্রিন কাণ্ডে চড়ছে রাজনীতির পারদ। পুলিশের মারে আজাদগড়ের যুবকের মৃত্যু মামলায় চাপ বাড়ছে পুলিশের। বিজেপি পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণেই অন্যায়ভাবে দীপঙ্কর সাহাকে আটক করে পিটিয়ে খুন করেছে পুলিশ। অভিযোগে সরব বিজেপি। অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকেও পুলিশি ভূমিকার প্রশ্ন তুলে আন্দোলনে সামিল।
দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির সভানেত্রী সংঘমিত্রা চৌধুরীর নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই গল্ফগ্রিন থানা ঘেরাও করে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করে দোষী পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবিতে জমা দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপি। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে আদালতে যাওয়ারও। এ দিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মৃত যুবকের আজাদগড়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী সরব হয়েছেন সিবিআই তদন্তের দাবিতে।
সোমবার গল্ফগ্রিন থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে জাতীয় কংগ্রেস। জমা দেওয়া হয় ডেপুটেশন। দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস নেতা প্রদীপ প্রসাদের দাবি, যেভাবে অমানবিক অত্যাচার করে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ সামনে আসছে সে ব্যাপারে আমরা চাই আদালতের পর্যবেক্ষণে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত’। মৃত দীপঙ্কর সাহার দাদা রাজীব সাহার অভিযোগ, ‘পুলিশ আমার ভাইকে যেভাবে বিনা কারণে হত্যা করেছে আমরা ঘটনার সুবিচারের জন্য যতদূর যেতে হয় যাব’।
পুলিশি তদন্তে আমাদের আস্থা নেই। আমরা শীঘ্রই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে। বললেন রাজীব সাহা। বলাবাহুল্য, গত কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হন রাজীব। শাসক দলের নির্দেশে সেই আক্রোশ থেকেই দীপঙ্করকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ সাহা পরিবারের। দীপঙ্কর সাহার মৃত্যুর ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে গল্ফগ্রিন থানা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হয়েছে। যদিও এতে সন্তুষ্ট নয় মৃতের পরিবার। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে অনড় তারা।
VENKATESWAR LAHIRI