আর্টেমিস ১ চন্দ্রাভিযানের লক্ষ্য নাসার, দুনিয়ার ৩৩ লক্ষ নামের মধ্যে বাংলার শৌনকও

আর্টেমিস ১ চন্দ্রাভিযানের লক্ষ্য নাসার, দুনিয়ার ৩৩ লক্ষ নামের মধ্যে বাংলার শৌনকও

#কলকাতা: আর ঠিক কয়েক সপ্তাহের অপেক্ষা। শুরু হতে চলেছে নাসার আর্টেমিস ১ প্রোগ্রাম, সমগ্র চাঁদকে ঘুরে দেখার জন্য এবং কয়েক বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষের অবতরণ করার রাস্তাকে আরও সহজতর  করা, মূলত এই দুটি কাজ। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মানুষের অবতরণ হতে চলেছে। এর আগে চাঁদে মানুষের শেষবার অবতরণ হয়েছিল ১৯৭২ সালে ডিসেম্বর মাসের অ্যাপোলো ১৭ মিশনের দ্বারা।

আটলান্টিক মহাসাগরের ঠিক পাশেই আমেরিকার ফ্লোরিডা শহর, সেখানে এখন সাজো সাজো রব, কারণ আর কয়েক সপ্তাহ পরেই ২৯ অগাস্ট  সেখানের কেপ ক্যারেনেইভাল স্পেস স্টেশন থেকে আর্টেমিস ১-এর প্রথম উৎক্ষেপণ হতে চলেছে ওরিয়ন স্পেস ক্রাফটের মাধ্যমে। বলা বাহুল্য এটি নাসা পরিচালিত আর্টেমিস ১ মিশনের প্রথম ধাপ।

সূত্রের খবর প্রায় ১ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে চলেছে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে সাক্ষী করার জন্য, তাই সমুদ্র লাগোয়া সব হোটেলের অগ্রিম বুকিং আপাতত শেষ।

এদিকে সেখান থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে গুগলের লোকাল গাইড ও মহাকাশ প্রেমী শ্রীরামপুরের চাতরার  বাসিন্দা শৌনক দাস খুবই উত্তেজিত, কেনই বা হবেন না, সারা পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৩ লক্ষের (৩৩৯১১০৮) মানুষের নাম এবারে একটা ফ্ল্যাশ ড্রাইভের মধ্যে রেখে নাসা তাদের ওরিয়ন স্পেসক্রাফট-এর মাধ্যমে মহাকাশে পাঠাতে চলেছে , তার মধ্যে তাঁর নামও থাকছে। ইতিমধ্যে নাসা থেকে তাকে একটি বোর্ডিং পাস পাঠানো হয়েছে।  উল্লেখ্য, ঠিক ২  বছর আগে  মঙ্গল  যাত্রার সময় সে বারে নাসা থেকে তাঁকে একটি বোর্ডিং পাস পাঠানো হয়েছিল, বর্তমানে লাল গ্রহের মাটিতে তাঁর নামও বাকিদের পাঠানো নামের সঙ্গে একটি মাইক্রোচিপে আছে।

শৌনক বলছিলেন স্বশরীরে উপস্থিত না থাকলেও তাঁর নাম এই চাঁদের অভিযানে থাকায় তিনি ও তার পরিবার, বন্ধু বান্ধব সবাই খুব খুশি।  রকেট উৎক্ষেপণ সরাসরি নাসা তাঁদের নিজস্ব টিভি চ্যানেলে দেখাবে, তার আমন্ত্রণও তিনি পেয়েছেন।

Published by:Teesta Barman

(Source: news18.com)