ইঁদুরের মাংস খেয়ে বিপদ বাড়াল চিনারা! ছড়াচ্ছে নতুন মারণ ভাইরাস

ইঁদুরের মাংস খেয়ে বিপদ বাড়াল চিনারা! ছড়াচ্ছে নতুন মারণ ভাইরাস

#বেজিং: ২০১৯ সালের শেষের দিকে করোনাভাইরাস চিন থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। এই ভাইরাস যে এত বিপজ্জনক প্রমাণিত হবে, তা সেই সময় কারও ধারণা ছিল না।

পরের বছর অর্থাত্ ২০২০-র মার্চ নাগাদ এই ভাইরাসের ফলে ভারতেও লকডাউন হয়। অনেকেই দাবি করেছিলেন, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চিন থেকে। কিন্তু চীন আজ পর্যন্ত তা মেনে নেয়নি।

কিছু লোক বিশ্বাস করেন, চিন কোনও ল্যাবে এই ভাইরাস তৈরি করেছে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, চিনের উহান মিট মার্কেটে বিক্রি হওয়া বাদুড়ের মাংস থেকে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। তার পর সেটাই মহামারীর আকার নেয়।

সত্যিটা আসলে কী, তা এখনও জানা যায়নি। তবে এই মারণ ভাইরাস সারা বিশ্বে বহু মানুষের প্রাণহানির কারণ হয়েছিল। চিনের মাংসের বাজার কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। কিন্তু এর পর আবারও সেখানে নির্বিচারে শুরু হয়েছে পশুপাখির মাংসের ব্যবসা।

এখন আবার চিন থেকে নতুন একটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর আসছে। ইঁদুরের মাংস থেকে এই ভাইরাস এবার মানুষের শরীরে এসেছে বলে দাবি করছেন অনেকে। তবে এখনও নিশ্চিত নয়, এই ভাইরাস করোনার মতো মানুষ থেকে মানুষে ছড়াবে কী না!

নতুন এই ভাইরাস নিয়ে চীনে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অনেকে বলছেন, এই ভাইরাস ইঁদুর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এর নাম দি লংইয়া হেনিপাভাইরাস বা লংইয়া।

চিনে এখন পর্যন্ত মোট ৩৫ জন এই ভাইরাসের শিকার হয়েছেন। দ্য তাইপেই টাইমসের খবর অনুযায়ী, এই ৩৫ জনের কেউই এখনও পর্যন্ত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েনি। কিংবা কারো মৃত্যুও হয়নি।

প্রত্যেকেরই সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ রয়েছে। চিনের শানডং এবং হেনান প্রদেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

চিনে ছড়িয়ে পড়া লংইয়া ভাইরাসের লক্ষণ সাধারণ ফ্লুর মতোই। ২৬টি ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, কাশি, খিদে কমে যাওয়া, শরীরে ব্যথা এবং বমির মতো উপসর্গ রয়েছে।

এছাড়া এই ভাইরাসের হানায় মানুষের শরীরে শ্বেত রক্ত ​​কণিকা কমে যাচ্চে। প্লেটলেট কাউন্ট কমে যাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে লিভার এবং কিডনি ফেইলিউর দেখা গিয়েছে।

Published by:Suman Majumder

(Source: news18.com)