ভারতে বাড়ছে রান্নার তেলের আমদানি
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, রান্নার তেল ও অন্যান্য তেলের আমদানির পরিমাণ জুলাই মাসে ২৪ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। তেলের আমদানি রফতানির জন্য আলাদাভাবে একটি বর্ষ ধরা হয়। মূলত নভেম্বর থেকে পরের বছরের অক্টোবর পর্যন্ত একটি বর্ষ ধরা হয় তেল আমদানি রফতানির ক্ষেত্রে। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত এক বছরে রান্নার তেলের আমদানির পরিমাণ ৯৩,৭০,১৪৭ টন থেকে বেড়ে ৯৬,৯৫,৩০৫ টন হয়েছে। পরিশোধিত পাম তেলের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১,৪৪,৪৯৬ টন, অপরিশোধিত পাম তেলের পরিমাণ বেড়ে হয়েছ ৩৬,৫৯,৬৯৯ টন। অপরিশোধিত সোয়াবিন তেলের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩৩,৩০,৫৫৬ টন। অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেলের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫,০৭২৬ টন।
রান্নার তেলের দাম কমার সম্ভাবনা
ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে রান্নার তেলের দাম কমেছে। যার জেরে ভারতের খুচরো বিক্রিতে রান্নার তেলের দাম কমতে দেখা গিয়েছে। তবে রান্নার তেলের দাম আরও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, রান্নার তেলের দাম ১০ থেকে ১২টা কমতে পারে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে তেলের সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে রান্নার তেলের সংস্থাগুলো দাম কমাতে সম্মত হয়েছে। খুব শীঘ্রই রান্নার তেলের দাম ১০ থেকে ১২টাকা কমতে পারে বলে সংস্থাগুলোর তরফে জানানো হয়েছে। তবে কবে থেকে ফের রান্নার তেলের দাম কমবে, তা জানা যায়নি।
আন্তর্জাতিক বাজারে কমল রান্নার তেলের দাম
আন্তর্জাতিক বাজারে রান্নার তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে কৃষ্ণ সাগরের বাণিজ্যিক করিডোর ব্যবহার করতে পারছিল না ইউক্রেন। তেলও রফতানি করতে পারছিল না। সেক্ষেত্রে তেলের মজুদে টান পড়তে শুরু করে। রাশিয়া, ইউক্রেন ও আর্জেন্টিনা মূলত সূর্যমুখী ও সোয়াবিন তেল রফতানি করে। কিন্তু কৃষ্ণ করিডর ইউক্রেনের জন্য খুলে দেওয়ার ফলে নতুন করে সোয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল রফতানি করতে শুরু করেছে ইউক্রেন। যার ফলে তেলের দাম অনেকটা কমেছে। ইউক্রেন পাম তেলও রফতানি করে। অন্যদিকে, মূলত মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রফতানি করে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যার জেরে পাম তেলের আমদানিতে ঘাটতি পরে। সেই নিষেধাজ্ঞা ইন্দোনেশিয়া তুলে নেওয়ার ফলে ফের পাম তেলের দাম কমে যায়।