দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় : ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) খেলতে চলে এলেন চলতি মরসুমের প্রথম বিদেশি ফুটবলার চারালাম্বোস কিরিয়াকউ । সাইপ্রাসের এই ডিফেন্ডার (Defender) শনিবার সকালের বিমানেই দুবাই থেকে কলকাতায় (Kolkata) আসেন। বিমানবন্দরে তাকে বরণ করে নিতে হাজির ছিলেন লাল-হলুদের কমর্কর্তা ও সদস্য-সমর্থকেরা। ফুল দিয়ে নবাগত এই বিদেশিকে স্বাগত জানান ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধিরা। বিমানবন্দরেই তাঁকে লাল-হলুদ পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয়। তার পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইস্টবেঙ্গলের আস্তানায়।৩২ বছর বয়সি সাইপ্রাসের এই ডিফেন্ডার তাঁর দেশের হয়ে ১১টি ম্যাচ খেলেছেন। এ ছাড়াও সাইপ্রাসের ঘরোয়া ফুটবলে তিনি বেশ পরিচিত নাম। শুক্রবারেই চারালাম্বোস-সহ পাঁচ বিদেশির নাম ঘোষণা করেছে ইস্টবেঙ্গল। নতুন এই বিদেশিকে নিয়ে তাই নতুন মরসুমে সাফল্যের নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা। দলের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন অতীতে সাইপ্রাসে কোচিং করিয়েছেন। সেই সুবাদে তিনি ভাল ভাবে চেনেন এই ফুটবলারটিকে। শোনা যাচ্ছে তিনিই দলের রক্ষণকে পোক্ত করতে চারালাম্বোসকে নিয়েছেন।
সাইপ্রাস থেকে দীর্ঘ বিমানযাত্রা করে করে কলকাতায় এসেছেন। কিন্তু পেশাদার এই ফুটবলার তা নিয়ে বেশি বিব্রত ছিলেন না। সকালে কলকাতায় পা দিয়েই পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই লাল-হলুদের এই নবাগত বিদেশি চলে আসেন দলের অনুশীলনে। দুপুর তিনটের সময় টিম বাস থেকে নামার সময়ে তাঁকে বেশ কয়েক বার ‘জয় ইস্টবেঙ্গল’ বলতে শোনা যায়। তার আগে বিমানবন্দরেই তিনি বলেন, “দলের রক্ষণকে পোক্ত করতে চাই। দলকে সাফল্য দিতে নিজের সেরাটা দেব।” প্রথম দিন মাঠে নেমেই নবাগত ডিফেন্ডার অনুশীলন করলেন চুটিয়ে।শনিবারেই ছিল ইস্টবেঙ্গলের প্রাণপুরুষ প্রয়াত পল্টু দাসের তিরাশিতম জন্মদিন। যা ইস্টবেঙ্গলে পালন হয় ক্রীড়াদিবস হিসেবে। সেই বিশেষ দিনেই মাঠে নেমে নজর কাড়লেন সাইপ্রাসের এই ডিফেন্ডার। ২৮ অগাস্ট ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে যিনি লাল-হলুদের বড় ভরসা হতে চলেছেন।
প্রথম দিনের অনুশীলনে বেশ ছন্দেই দেখা গেল তাঁকে। কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের তত্বাবধানে জেট ল্য়াগের ক্লান্তি এড়িয়ে মন দিয়ে অনুশীলন করতে দেখা যায় চারালাম্বোসকে। এ দিন নতুন বিদেশি ডিফেন্ডার ও দলের অনুশীলন দেখতে ইস্টবেঙ্গল মাঠের গ্যালারিতে হাজির ছিলেন লাল-হলুদের দুই প্রাক্তন ডিফেন্ডার অমিত ভদ্র ও তরুণ দে। দ্বিতীয় জন এখনই নবাগত এই বিদেশিকে মন্তব্য না করলেও, প্রথম দিনের অনুশীলন দেখে অমিত ভদ্র সন্তুষ্ট চারালাম্বোসকে নিয়ে। তিনি বলেন,”প্রথম দিনের অনুশীলন দেখেই কোনও ফুটবলারের সার্বিক মূল্যায়ন হয় না। তবে চারালাম্বোসকে দেখে মনে হল ও ছন্দে রয়েছে। উচ্চতা ভাল। রিসিভ ও টাচও বেশ। মনে হচ্ছে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে সাইপ্রাসের এই ডিফেন্ডার। তা ছাড়া স্টিফেনেরও এটা একটা পরীক্ষা। এমনতিই দেরিতে শুরু করেছে ও। ফলে সাইপ্রাস থেকে সেরা ফুটবলারকেই ও আনবে বলে মনে হয়। “২৮ অগাস্ট ডার্বির আগে দুসপ্তাহ পাবেন লাল-হলুদের এই নবাগত ডিফেন্ডার। সমর্থকেরাও আশাবাদী এই সময়ের মধ্যেই দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন সাইপ্রাসের এই ফুটবলার।
((Source: zeenews.com)