প্রেমিকার মারে যুবকের মৃত্যু! গার্হস্থ্য হিংসার উল্টো ছবি! ঘটনা অবাক করবে!

প্রেমিকার মারে যুবকের মৃত্যু! গার্হস্থ্য হিংসার উল্টো ছবি! ঘটনা অবাক করবে!

#নয়া দিল্লি: গার্হস্থ্য হিংসা ও নারী নির্যাতন শব্দটি যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে। যদিও আক্ষরিক ভাবে এই শব্দটিতে কোথাও লিঙ্গ বৈষম্য থাকার কথা নয়। আর তেমনটা যে সত্যিই নয়, তা প্রমাণ করল মিয়ামির (Miami) এক ঘটনা। অভিযোগ, সম্পর্কে থাকাকালীন অবস্থায় প্রেমিকার মারে গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের।

গার্হস্থ্য হিংসার প্রসঙ্গে উঠলে ঘটনার সংখ্যা বিচারে পুরুষের অত্যাচারিত হওয়ার কথা কেউ ভাবতে পারেন না। কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক পুরুষ রয়েছেন যাঁরা এই পারিবারিক হিংসার শিকার হন প্রতিদিন। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম (Instagram)-এর এক জনপ্রিয় ব্যক্তির (Celebrity) একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। জনপ্রিয় এই মহিলাকে সেই ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে নির্যাতনকারীর ভূমিকায়। এক বহুতলের লিফটের (Elevetor) ভিতর নিজের প্রেমিকে বেধড়ক মারতে দেখা গিয়েছে ওই মহিলাকে। পরে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে, লিফটের ভিতর প্রেমিককে মারলেও বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি এমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, যেন ভিতরে কিছুই ঘটেনি। তার প্রেমিকও সম্পূর্ণ নির্বিকার আচরণ করেছেন। কিন্তু লিফটের ভিতরে থাকা ক্যামেরায় সমস্ত ঘটনা রেকর্ড হয়েছে। কোর্টনি ক্ল্যানির (Courtney Clanny) নামে ওই মহিলার সিসিটিভি ফুটেজ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘কোর্টনি টেলর’ নামে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে তাঁকে দেখা গিয়েছে তাঁর প্রেমিককে মারধর করতে। এই ভিডিও-টি রেকর্ড হওয়ার কয়েক মাস পর তাঁর প্রেমিক মারা যান।

২৬ বছর বয়সী কোর্টনি এবং তাঁর ২৭ বছর বয়সী প্রেমিক ক্রিশ্চিয়ান ওবমসলির (Christian Abomsley) সম্পর্ক ছিলেন দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি দু’জনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দেখা গিয়েছে, লিফটের ভেতরে কোর্টনি তাঁর প্রেমিককে মারাত্মক ভাবে ঘুষি মারছেন। কখনও চড় মারছেন, চুল টেনে ধরে মারাত্মক প্রহার করছেন। ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে ক্রিশ্চিয়ান বারবার এই আক্রমণ এড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু লিফটের দরজা না খোলা পর্যন্ত কোর্টনি তাঁকে ছাড়েননি।

এর পরে যখন ক্রিশ্চিয়ানের মৃত্যু হয়, তখন মনে করা হচ্ছে কোর্টনিই তাঁর প্রেমিককে হত্যা করে থাকতে পারেন। মাস দুয়ের আগে ক্রিশ্চিয়ানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ তার মৃত্যুর জন্য কোর্টনিকেই দায়ী করেছে। কোর্টনি আদালতে বিচারের মুখোমুখি হলে, প্রকাশ্যেই এই সিসিটিভি ফুটেজটি অভিযোগের সাপেক্ষে প্রমাণের জন্য দেখানো হয়েছিল। পুলিশের হিসেব অনুযায়ী এই ভিডিও-টি যে দিনের তারও মাস খানেক পরে ক্রিশ্চিয়ান মারা যান। ক্রিশ্চিয়ানের মৃত্যুর দিন তাঁর দু’জনেই মিয়ামিতে ছিলেন। গুরুতর অবস্থায় ক্রিশ্চিয়ানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আদালতে হত্যা মামলার বিচার চলাকালে ক্রিশ্চিয়ানের ন্যায়বিচার পেতে তার পক্ষের আইনজীবী এই ভিডিও-টি পেশ করেন।

Published by:Piya Banerjee

(Source: news18.com)