#নয়াদিল্লি: ভারত চিরকাল শান্তির পক্ষে। মুশকিল হচ্ছে ভারতের এই মনোভাব অনেকে দুর্বলতা ভেবে বসে। কিন্তু তারা জানে না প্রয়োজনে ভারত কড়া হতে পারে, যোগ্য জবাব দিতে পারে। বক্তার নাম এস জয়শংকর। পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই বছর অতিক্রান্ত হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ে ১৬ বার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনো সংঘর্ষ-পূর্ববর্তী স্থিতাবস্থা ফেরেনি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। চিনা বাহিনী তাদের অবস্থানে ফেরত যায়নি। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ভারত ও চিন সম্পর্কে শান্তি আসবে না বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানের মাঝে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমানে দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি যেমন, তাতে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না। তিনি বলেন, সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ এবং পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চিন যদি সীমান্তের শান্তি নষ্ট করে, তা হলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে তার প্রভাব পড়বেই।
Bengaluru | The big problem is the border situation, our military has been holding on to the ground. We have made substantial progress in pulling back from places where we are very close: EAM S Jaishankar on the India-China issue pic.twitter.com/L1MtkOzNIy
— ANI (@ANI) August 12, 2022
এ কথা তাদের বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের সম্পর্ক মোটেই স্বাভাবিক নয়। স্বাভাবিক হতেও পারে না। কারণ, সীমান্ত পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি এখন কেমন তা জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, দুই বছর ধরে ভারতীয় বাহিনী জমি আঁকড়ে আছে। এতে স্পষ্ট আমরা কতটা প্রস্তুত, বাহিনী কত দক্ষ ও আমাদের মনোবল কেমন দৃঢ়।
মুখোমুখি অবস্থান থেকে বেশ কিছু জায়গায় আমরা সরে এসেছি। কিন্তু কিছু জায়গা থেকে চিন এখনো সরেনি। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) প্রকল্পের অন্তর্গত চিন -পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) তৈরি করছে।
এ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ভারত শুরু থেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে চলেছে। আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু চিন কর্ণপাত করেনি। এই প্রকল্প ভারতের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে। জয় শংকর জানিয়েছেন ভারতের ধৈর্যের সীমা আছে। অর্থাৎ ঘুরিয়ে তিনি যে এবার চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন পরিষ্কার জানিয়েছেন জয় শংকর।