‘ডিএনএ পরীক্ষা করাতেও রাজি’, স্বাধীনতার দিনে মোদির কাছে আর্জি নেতাজি-কন্যার

‘ডিএনএ পরীক্ষা করাতেও রাজি’, স্বাধীনতার দিনে মোদির কাছে আর্জি নেতাজি-কন্যার

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্বাধীনতা দিবসে নেতাজি (Netaji) সুভাষ চন্দ্র বসুকে স্মরণ করছে গোটা দেশ। এদিকে, জার্মানিতে বসবাসরত নেতাজির কন্যা অনিতা বোস পাফ (Anita Basu Pfaff) ভারত সরকারের কাছে নেতাজির দেহাবশেষ ভারতে আনার দাবি জানিয়েছেন।  ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে নিজের ইচ্ছার কথা বলতে গিয়ে সোমবার নেতাজিকন্যা বলেন, “ আমি চাই আমার বাবার চিতাভষ্ম তাঁর মাতৃভূমিতে ফিরে আসুক।” অনিতা বোস আরও বলেছেন যে নেতাজির সমগ্র জীবনে দেশের স্বাধীনতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই ছিল না। আসলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যু একটি রহস্য। অনেকে দাবি করেছেন নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এরপর তার দেহাবশেষ জাপানের একজন কর্তৃপক্ষ সংগ্রহ করে টোকিওর রেনকোজি মন্দিরে সংরক্ষণ করে। তারপর থেকে তিন প্রজন্মের পুরোহিতরা দেহাবশেষের যত্ন নিয়েছেন।

তিনি আরও জানিয়েছেন, এই মর্মে অনেকবার ভারত এবং জাপানের সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। অনিতার কথায় কর্ণপাত করেনি দুই দেশের সরকার। অনিতার মতে, নেতাজির মৃত্যু নিয়ে যাবতীয় ধোঁয়াশা দূর করার জন্য এটাই একমাত্র উপায়। এরই সাহায্যে ১৯৪৫ সালের  ১৮ আগস্ট মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যু হয়েছে কিনা তা যেমন জানা যাবে তেমনই নেতাজির মৃত্যু নিয়ে যারা এখনও সন্দেহ প্রকাশ করেন তাদেরও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে।  তাঁর মতে, “টোকিয়োর রেনকোজি মন্দিরে সংরক্ষিত চিতাভষ্ম আমার বাবার এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত। এই দেহাবশেষের DNA পরীক্ষা করাতেও আমি প্রস্তুত। যারা রেনকোজি মন্দিরে সংরক্ষিত চিতাভষ্ম নেতাজিক কিনা তা নিয়ে এখনও সংশয় প্রকাশ করেন,DNA পরীক্ষা হলে তাঁরাও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পেয়ে যাবেন।”

অনিতা বোস তার বিবৃতিতে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের জনগণের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন যে নেতাজির জীবনে তার দেশের স্বাধীনতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই ছিল না। তাই এখন সময় এসেছে অন্তত তার দেহাবশেষ ভারতের মাটিতে ফিরিয়ে দেওয়া যেতে পারে। নেতাজির ভস্ম ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করার জন্য তিনি জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান। বলেন, ‘নেতাজিকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন’।