#মাথাভাঙ্গা: স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে, তবে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চারিপাশের সীমানার পাঁচিল ও নেই। আর মূলত সে কারণেই সন্ধ্যের অন্ধকার নামলেই সমাজ বিরোধীদের আড্ডাস্থল হয়ে ওঠে স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরটি। এমনটাই অভিযোগ মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লক গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার স্থানীয় মানুষদের। এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা খগেন্দ্রনাথ বর্মন জানান, “স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির অবস্থা খুব খারাপ দ্রুত এর দিকে নজর দেওয়া উচিত। পুরো স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিচালনা করছেন একজন মধ্য চিকিৎসক। আর তার ফলে সপ্তাহে মাত্র দু’দিন খোলা থাকছে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। রোগীদের এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে বাড়িতে।”
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে এই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বহির্বিভাগের নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছিল। তবে তারপরে কেটে গেছে অনেকটা সময়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হয়নি কোনও অন্তঃর্বিভাগ। এই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পক্ষীহাগা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে একজন চিকিৎসক এসে রোগী দেখেন। তাই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন মাত্র চিকিৎসক রয়েছেন। আর তাই মূলত সপ্তাহে দু’দিন মাত্র খোলা থাকে এই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক দেবেশ রঞ্জন মণ্ডল বলেন, “আমি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসক। আমি ছাড়া এখানে একজন নার্স এবং দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছেন। রোগীদের ভিড় এখানে প্রচুর পরিমাণে থাকে। কিন্তু সময়ের অভাবে সব রোগীদের দেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এখানে আরও একজন চিকিৎসক থাকলে ভাল হত।” তবে এই বিষয়টি নিয়ে ডেপুটি সিএমওএইচ পরিতোষ মণ্ডল বলেন, “কোচবিহার জেলায় পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। কোচবিহারের বেডেড হসপিটাল গুলোকে পরিষেবা প্রদানের পর সেই ডাক্তারদের দিয়েই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির চারিপাশের দেওয়াল তোলা নিয়ে কিছু জমি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। সে সমস্যাগুলি সমাধান হলেই আমরা চার বছর দেওয়ালের ব্যবস্থা করছি।”
Sarthak Pandit