#উত্তর ২৪ পরগনা: পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করল স্বামী। পরে নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে সে। ঘটনাস্থলে দত্তপুকুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঠিক কী হয়েছিল?
দত্তপুকুর থানার সুভাষনগর এলাকার বাসিন্দা প্রেমানন্দ দাস ও তার স্ত্রী মায়ারানি দাস এক বাড়িতেই থাকতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। বিবাদ থেকেই স্ত্রী মায়ারানি দাসের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে স্বামী। পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্বামী প্রেমানন্দ দাস। প্রতিবেশী এক মহিলা সকালে ছাদে উঠে মহিলাকে চিৎকার করতে শোনেন। এরপরে নীচে আসলেই দেখতে পান উপুর হয়ে খাটের উপর শুয়ে রয়েছেন মহিলা।
এলাকার লোকজনকে ডাকলে স্থানীয়রা গিয়ে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন দু’জনেই। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় নীলগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশকে। তখনই পৌঁছয় নীলগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির আধিকারিকেরা। দু’জনকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসাত হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মায়ারানি দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রেমানন্দ দাসের বারাসাত হাসপাতালে অস্ত্রপোচার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে দাবি, বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হত। তবে কী কারণে এদিনের অশান্তি ও এই হত্যা-আত্মহত্যার চেষ্টা সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ ।
জিয়াউল আলম