জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আবহাওয়ার চেয়ে খামখেয়ালি এই মুহূর্তে আর কী আছে? এই গরম তো, এইি বর্ষা। নামছে তাপমাত্রা। দরদর করে ঘামের পরিবর্তে তাই আসছে সাময়িক স্বস্তি। হয়তো এসির মাত্রা কমাতে হচ্ছে, পাখার পয়েন্ট নামাতে হচ্ছে। তারপর ফের একদিন গরম, আর্দ্রতা। কিন্তু নিত্য ও দ্রুত পরিবর্তনশীল এই আবহাওয়ার সঙ্গে অত দ্রুত তাল মেলাতে পারছে না শরীর। ফলে ঘরে ঘরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষজন। ভাইরাল ফিভারের ধাক্কায় প্রায় শুয়ে পড়েছে কলকাতা তথা পশ্চিমবাংলা। মোটামুটি সকলেরই যে লক্ষণগুলি দেখা যাচ্ছে সেগুলি হল– গা-হাত-পায়ে ব্যথা, গলা খুসখুস, সঙ্গে কখনও কখনও শুকনো কাশি, কখনও হাঁচি কিংবা নাক থেকে ঝরছে কাঁচা জল। আর টেম্পারেচার তো থাকছেই। হাল্কা জ্বর থেকে হাই ফিভার থাকছে সবই। বাড়িতে অনেকেরই এই সব রোগের সঙ্গে লড়ার জন্য ওযুধ থাকে। ফলে তাঁরা সেসব নিজের মতো করে খাচ্ছেন। সেটা একটা অন্যায় হচ্ছে শরীরের সঙ্গে। কিন্তু সেই অন্যায় শরীরকে সাময়িক স্বস্তি দিলেও স্বাভাবিক ভাবেই সুস্থ করে তুলছে না। ফলে দৌড়তে হচ্ছে ডাক্তারখানায়।
আর তখনই জানা যাচ্ছে, কালপ্রিট আসলে কয়েকটা আপাত-নিরীহ নামের ভাইরাস– রোটাভাইরাস, নরোভাইরাস, অ্যাডেনোভাইরাস। এদের হাত ধরেই ঘরে ঘরে জ্বর-জ্বালা। এই সব ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বমি-বমি ভাব বা ডায়ারিয়া– হতে পারে নানা কিছু।
এমনিতেই তো কোভিড-পর্ব চলছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মাঙ্কিপক্স আর টোমেটো ফ্লুর বাড়বাড়ন্ত। আরও যা জেনে শঙ্কিত হচ্ছেন মানুষ, এই সব কটির সঙ্গে তলায় তলায় রয়ে গিয়েছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, সোয়াইন ফ্লু-র চোখরাঙানিও!
তা বলে কি আপনি ভয়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবেন? না, তা নিশ্চয়ই নয়। আগে আপনি জেনে নিন, কোন জ্বরের মোটামুটি কীরকম রোগলক্ষণ:
কোভিড
বেশি জ্বর নয় সব সময়, তবে গলায় ব্যথা। কখনও-সখনও বুকে হালকা ব্যথা, সর্দি, স্বাদগন্ধহীনতা, পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ডেঙ্গি
হাই ফিভার। গায়ে-হাতে-পায়ে বিশেষত গাঁটে গাঁটে ব্যথা, অরুচি।
ম্যালেরিয়া
কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। এ ক্ষেত্রেও গাঁটে ব্যথা থাকে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা
মোটামুটি দিনতিনেকের জ্বর। গলায় ব্যথা। গা ম্যাজম্যাজ করা বা অল্প ব্যথা, শরীর দুর্বল।
কী করবেন, কী করবেন না:
নিজে ডাক্তারি না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান
জ্বর না কমলে রক্ত পরীক্ষা করান
যেহেতু সব ধরনের জ্বরেরই মোটামুটি একই রকম লক্ষণ ফলে টেস্ট মাস্ট
রোগী পাঁচ বছরের কম বয়সের হলে ডাক্তারের পরামর্শে তার রোটাভাইরাস টিকাকরণ করাতে পারেন
আর যেগুলি সাধারণ ভাবে সকলকেই মানতে হবে সেগুলি হল– রাত্রে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোন, মশার তেল জ্বালুন। ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গি হয় মশার কামড়েই। এদিকে কোভিড ছড়ায় ড্রপলেটে। ফলত সর্বত্র সর্বদা মাস্ক পরুন। ‘আর তো করোনা তেমন হচ্ছে না’ বলে নিশ্চিন্ত হয়ে মাস্ক পরা ছেড়ে দেবেন না, যেমন অনেকেই আজকাল করছেন। মাস্ক আপনাকে অর্ধেক সংকট থেকেই বাঁচিয়ে দেবে।
(Source: zeenews.com)