#কিভ: সেই ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল রাশিয়ান সেনাবাহিনী। ছয় মাস হয়ে গেল, যুদ্ধ এখনও থামেনি। এখনও আকাশে ঘুরছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান। সেখান থেকে ছোড়া বোমা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে বাড়ি-ঘর। এখনও মাঝেমধ্যে ধেয়ে আসছে মিসাইল। কিন্তু তার মধ্যেই ফুটবল শুরু হয়েছে ইউক্রেনে। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ইউক্রেনের ঘরোয়া লিগ।
বোমা, মিসাইলের আতঙ্ক থাকায় দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হচ্ছে খেলা। আতঙ্ক রয়েছে ফুটবলারদের মধ্যেও। প্রতিটি স্টেডিয়ামে রয়েছে বোমার হাত থেকে বাঁচার নিরাপদ স্থান। খেলার মাঝে সাইরেন বাজলেই সেখানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফরা। ভয় কেটে গেলে আবার শুরু হচ্ছে অনুশীলন।
শুধু তাই নয়, প্রতিটি ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের ভিতরে তৈরি রাখা হচ্ছে সেনাবাহিনীকে। যদি কখনও এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সাইরেন বাজে তা হলে সেনাবাহিনী ঘিরে ফেলছে স্টেডিয়াম। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে তারা জানাচ্ছে খেলা শুরু করা যাবে কি না। ইউক্রেন ফুটবল সংস্থার প্রধান অ্যান্ড্রি পাভেলকো বলেছেন, সম্পূর্ণ অন্য রকম পরিস্থিতিতে লিগ শুরু করছি।
Football returns to Ukraine as new season starts amidst raging war. No spectators allowed even in some of the safest regions. Officials say they’ve done several risk assessments for games to start. Shakhtar Donetsk drew 0-0 with Metalist 1925 in first game in Kyiv.
Photos: CNN pic.twitter.com/PuBlRB737Y
— Jerome Otchere (@JeromeOtchere) August 23, 2022
যুদ্ধের মধ্যেই খেলা হচ্ছে। বোমা, মিসাইলের আতঙ্ক নিয়েই খেলা হচ্ছে। অনেক ক্লাবের স্টেডিয়াম ভেঙে পড়েছে। তাদের সাহায্য করতে অন্য ক্লাব এগিয়ে এসেছে। ফুটবল আমাদের কাছে আবেগ, লড়াই। কোনও যুদ্ধ একে আটকে রাখতে পারবে না। তবে ইউক্রেন লিগের বেশিরভাগ খেলাই হবে রাজধানী কিভে।
প্রথমত রাজধানী দেশের পশ্চিম দিকে অবস্থিত, পোল্যান্ডর কাছাকাছি। যুদ্ধ মূলত হচ্ছে পূর্ব সীমান্তে। রাশিয়া কিভ আক্রমণ করবে এমন কোনও খবর আপাতত নেই। তবে ইউক্রেনের দুটি সবচেয়ে নামকরা ক্লাব শাখতার এবং ডায়নামো কিভ জানিয়েছে তাদের বেশির ভাগ বিদেশি ফুটবলার ভয়ে ইউক্রেন ছেড়ে চলে গিয়েছে। এখন ভরসা দেশি ফুটবলারাই।
ফুটবল লিগ শুরু করা প্রমান করে ইউক্রেনের রক্ত ঝরলেও মানসিক শক্তি এবং লড়াই করার ক্ষমতা হারায়নি দেশটি। রুশ হামলায় প্রাণ যেতে পারে, কিন্তু আত্মবিশ্বাস যায়নি।