#কিভ: অনেকেই মনে করেছিলেন যুদ্ধ লাগার পর তিনি হয়তো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন। কিন্তু তিনি লড়াই করার শপথ গ্রহণ করেছিলেন। সেটাই করেছেন। রাশিয়ার প্রবল হানার মুখেও লড়াই ছাড়েননি ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি। ২৪ অগস্ট, দেশের ৩১তম স্বাধীনতা দিবসে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের ছ’মাস পূর্ণ হল।
তবে ইউক্রেনের মাটিতে আগামী দিনে রুশ হামলার তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে অশনিসঙ্কেত মিলেছিল আগেই। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে আজ দেশ জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। কোথাও জনসমাগমের অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুধু সরকারি ও সামরিক অনুষ্ঠান হয়েছে। যদিও আজও মধ্য ইউক্রেনের একটি রেলস্টেশনকে নিশানা করে রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে কয়েক জন হতাহত হয়েছেন বলে জ়েলেনস্কি জানিয়েছেন।
Zelensky at Crimea Platform today: “In 2014, [Russia] decided to occupy our country, but the world didn’t give them a proper wallop. So they went on doing what they were doing. And again. And again… But now we’re giving them a wallop.” https://t.co/Ch62zys6M7
— Oliver Carroll (@olliecarroll) August 23, 2022
প্রেক্ষাপটে জ্বলজ্বল করছিল ভেঙেচুরে যাওয়া রুশ ট্যাঙ্ক ও সমরাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ। সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত সেই ভাষণে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি (যুদ্ধ শুরুর দিন) আমাদের বলা হয়েছিল, কোনও সুযোগ বাকি নেই। আর আজ, ২৪ অগস্ট আমরা স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই ছ’মাসে আমরা ইতিহাস বদলে দিয়েছি। বিশ্বকে বদলে দিয়েছি। সর্বোপরি, নিজেরাও বদলে গিয়েছি।
এ দিনের ভাষণে রাশিয়া অধিকৃত ডনবাস অঞ্চল এবং ক্রাইমিয়া পুনরুদ্ধারের শপথ নেন জ়েলেনস্কি। ইউক্রেনবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে আমেরিকা, জার্মানি, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, ব্রিটেন-সহ বহু দেশ।
পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এদিন কিভে জ়েলেনস্কির অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বরিস জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি সারা পৃথিবীর নেতাদের কাছে বিশাল একটি উদাহরণ। তার লড়াকু মানসিকতা এবং সংকল্পের তারিফ করেছেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।