‘বাড়িতে ক্যামেরা লাগানো’, একরত্তিকে ছেড়ে কাজ যাওয়ার বিষয় দ্বিধা নেই ভারতীর

‘বাড়িতে ক্যামেরা লাগানো’, একরত্তিকে ছেড়ে কাজ যাওয়ার বিষয় দ্বিধা নেই ভারতীর

এপ্রিলে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ভারতী সিং। বাবা হয়েছেন হর্ষ লিম্বোচিয়া। সন্তান জন্মের দুই সপ্তাহ পরে কাজে ফিরে আসেন ভারতী। একটি নতুন সাক্ষাত্কারে কমেডিয়ান বলেছিলেন, কাজের জন্য একরত্তি দুধের শিশুকে বাড়ি ছেড়ে আসতে দ্বিধা বোধ করেননি তিনি।

অনেকেই ভারতীর পেশাদারিত্বের জন্য প্রশংসা করেছেন। ছেলের জন্মের পরে এত তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কারে, ভারতী প্রকাশ করেছেন, ইনস্টল করা ক্যামেরার মাধ্যমে বাড়িতে সন্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন তিনি। কমেডি কুইন পরিবার, কর্মীরা এবং হর্ষের পরিবারের প্রশংসা করেছেন- যারা প্রায়শই তাঁকে একরত্তির যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে সমর্থন করেন।

ইটাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ভারতী বলেন, ‘আমার সন্তান বাড়িতে একা নেই। আমার পরিবার, দু’জন সাহায্যকারী, হর্ষের পরিবার, আমার ভাগ্নি আমাকে সমর্থন করার জন্য সবসময় রয়েছে। ওর দিকে নজর রাখার জন্য বাড়িতে ক্যামেরা ইনস্টল করা আছে। বর্তমানে ও নিরাপদ হাতে রয়েছে। তাই ওকে বাড়িতে রেখে যাওয়ার বিষয়ে আমি চিন্তা করি না বা নিজেকে দোষী বোধ করি না।’

ভারতী আরও বলেন, ‘আমি এটাও মনে করি যে আমি যদি কাজ না করতাম বা অর্থ উপার্জন না করতাম, তাহলে আমরা বাড়িতে এই ধরনের সুবিধা দিতে পারতাম না। এবং এই সময় আমি একা একটি শো হোস্ট করছি, তাই হর্ষ ছেলের কাছাকাছি রয়েছে সবসময়।’

২০১৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ভারতী এবং হর্ষ। গত বছর সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ঘোষণা করেছিলেন ভারতী। ভারতী জি টিভির রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা লিটল চ্যাম্পসে’র হোস্ট। এটি সেপ্টেম্বর থেকে প্রচারিত হবে। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে এখন বেশির ভাগ সময় একরত্তি ছেলের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন এই জুটি। নেটমাধ্যমের পাতায় ছেলের সঙ্গে ছবি এবং ভিডিয়োও শেয়ার করছেন তাঁরা।

ছেলে জন্মের ১২ দিনের মাথায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন ভারতী। সেই সময় প্রচুর সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। এক আগে এক সাক্ষাৎকারে কমেডি কুইন বলেছিলেন, লোকেরা বলত, ‘আপনি কেন মা হলেন যখন আপনার টাকার প্রয়োজন… একরত্তির এখন মায়ের দুধের প্রয়োজন, আপনার মঞ্চের দরকার নেই’ একজন কৌতুক অভিনেতাকেও মানুষ ঘৃণা করতে পারে দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’